রাজ্যে স্কুল খোলার চিন্তার সাথেই শুরু হয়েছে আরও একটি বিষয় নিয়ে চিন্তা। স্কুল তো খোলা হবে, কিন্তু কি হবে আগামী বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাস? ইতিমধ্যেই কাটছাঁট কড়া হয়েছে সিবিএসই এবং সিআইএসসিই এর দুই স্তরের পরীক্ষার সিলেবাসে। সূত্র হতে জানা গিয়েছে যে, রাজ্য পাঠ্যক্রম এবং পাঠ্যসূচি কমিটি হতে সিলেবাস জমা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। তবে তা এখনও আসেনি পড়ুয়াদের সামনে। করোনার প্রকোপে ক্লাস ও হয়নি এই বছর, যা আরও ভাবিয়ে তুলেছে অভিভাবকদের। এছাড়া কেবল উচ্চ মাধ্যমিকই নয় , সাথে একাদশের বার্ষিক পরীক্ষাও স্থগিত করেছিল রাজ্য সরকার। ফলে এইবছর উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের স্কুলে কোনো ক্লাস হয়নি বললেই চলে। তবে ডিসেম্বরে খুলবে কলেজ। যার ফলে বেশ উৎসাহিত অধ্যক্ষরা।
তবে এখানেই চিন্তার শেষ নয়। স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের ছাড়াও শিক্ষকদের বিশেষ চিন্তা রয়েছে বিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়াদের নিয়ে। তাদের ক্ষেত্রে কেবল উচ্চ মাধ্যমিক নয়, সাথে থাকবে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা এবং ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষাও। ফলে সর্ব ভারতীয় স্তর অনুযায়ী ঠিক করা হবে সিলেবাস। সেই সঙ্গে বিজ্ঞানের বিভাগে দরকার নূন্যতম প্রাকটিক্যাল ক্লাসও। কিন্তু এভাবে সেটা সম্ভব নয়। তা নিয়ে প্রয়োজন আলোচনা, এটাই মনে করেন স্কুলের শিক্ষকরা।
তবে সিবিএসই এবং আইএসসির পড়ুয়াদের সিলেবাস দেখে অনেকটাই ভারমুক্ত তারা। এছাড়া কমানো হয়েছে প্রতিবেশী রাজ্য ওডিশা এর মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাসও। তবে এই বিষয়ে রাজ্যে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে কথা হবে বলে জানা গিয়েছে। যার ফলে পড়ুয়ারা তাকিয়ে আছেন এই বৈঠকের দিকে। সাথে তাকিয়ে আছেন স্কুলশিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরাও। তবে এই সময় স্কুল শুরু করাও একটি চ্যালেঞ্জের থেকে কম কিছু নয় বলে মনে করেন শিক্ষকরা। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া সংখ্যা রাজ্যে প্রায় ৫০ লাখের সমান। ফলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে খুব ভেবেচিন্তে।
অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রীর নথী অনুসারে ডিসেম্বরে খুলবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। যার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন অধ্যক্ষরা ইতিমধ্যেই। এইদিন কলেজ অধ্যক্ষ অশোক মুখোপাধ্যায় বলেন,” কিছুদিনের মধ্যে টিচার-কাউন্সিল বৈঠক করা হবে। সেই অনুসারে করোনা অবস্থায় চলবে কলেজ। ক্যাম্পাসে রাখা হবে নূন্যতম ব্যবস্থা।’