এদিন বাংলাকে টার্গেট করে নির্বাচনের আগে বাংলাতে সফরে এলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে প্রথম দফার দলীয় বৈঠক সারার পরে তিনি গিয়ে পৌঁছান চতুর ডিহি গ্রামে। সেখানে গ্রামের প্রধান বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করলেন তিনি। সাধারণ চাটাইয়ে বসে একেবারে বাড়ির মানুষের মতো করে তাকে খাবার খেতে দেখা গেলো।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানে পৌঁছাতেই শঙ্খধ্বনি এবং উলুধ্বনিতে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হলো। তারপর কিছুক্ষণ টাকিয়ে তে বসে বিশ্রাম নিলেন তিনি। সেখানে বসে পরিবারের মানুষদের সাথে তিনি কথা বলেন। এছাড়াও তিনি এলাকায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোঁজখবর নেন।
তারপর শুরু হয় খাওয়া দাওয়ার পর্ব। আজ তাকে দেখা গেল সাধারণ খেজুর চাটাইয়ের আসনে বসে খাবার খেতে। তার মেনুতে ছিল ভাত, রুটি, ডাল, করোলা ভাজা, বেগুন ভাজা, আলু ভাজা এবং বাঁকুড়ার ঐতিহ্যবাহী মেচা সন্দেশ। বেশ তৃপ্তি করেই মধ্যাহ্নভোজ সারলেন অমিত।
তার সঙ্গেই খাবার খেতে বসেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় প্রমুখ। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সমস্ত ব্যবস্থাপনার তদারকি করছিলেন সৌমিত্র খাঁ। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর হাতে বাঁকুড়ার ঐতিহ্যবাহী ডোকরা শিল্প তৈরি একটি দুর্গামূর্তি ও তুলে দেওয়া হয়। অমিত শাহ এর আগমন উপলক্ষে এদিন বাঁকুড়ার চতুর ডিহি গ্রামে ছিল একেবারে সাজো সাজো রব। এতদিন যে গ্রামের নাম কেউ জানত না, হঠাৎ করে অমিত শাহ এর আগমনের পর বর্তমানে খবরের শিরোনামে উঠে এলো বাঁকুড়ার চতুরডিহি।