দুদিনের ঝটিকা সফরে প্রথম দিনে বাঁকুড়ায় শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করা নিয়ে বলতে শোনা গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় অমিত শাহ বলেন,” ভোটের আগে কেন? ভোটের পরেও আমাদের দরজা সবার জন্য খোলা”। এই মন্তব্যের পরেই আবারো নতুন করে শুভেন্দু অধিকারীর অবস্থান নিয়ে জল ঘোলা শুরু রাজ্য রাজনীতিতে।
সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে অমিত শাহ আরো বলেন,” আমার সঙ্গে ওনার কখনো কোনো কথা হয়নি। এটা সম্পূর্ণ রাজ্য নেতৃত্তের ব্যাপার। তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ নেই। আমরা ভোটের পরেও তাকে স্বাগত জানাতে পারি।” কিন্তু অমিতের এই মন্তব্যের পরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি প্রেস কনফারেন্সে জানিয়েছেন, ” যারা যেতে চাইছে তাদের যেতে দাও।” আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন মন্তব্যের পরেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, ” তাহলে কি শুভেন্দু এবার বিজেপিতে?”
উল্লেখ্য, বিগত বেশ কিছুদিন ধরে বাংলার মন্ত্রী এবং তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। আর সেখান থেকেই নতুন সমীকরণ তৈরি করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে বিস্তর জল্পনা চলছে। বিগত কয়েক দিনে শুভেন্দু তৃণমূলের কোন দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেননি। আবার শুভেন্দুর কোনো কর্মসূচিতে দেখা মেলেনি তৃণমূলের প্রতীক অথবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।
কিছুদিন আগে শুভেন্দু এবং তৃণমূলের বাকযুদ্ধ দেখা গিয়েছে। বিজয়া সম্মিলনী আমন্ত্রণপত্রে সবুজ এর পরিবর্তে শুভেন্দু ব্যবহার করেছেন গেরুয়া রং। পাশাপাশি তাকে দেখা গেছে রাজস্থানী স্টাইলে পাগড়ি পরে সেই আমন্ত্রণ পত্রের ছবি দিতে। অন্যদিকে, শুভেন্দুর সমর্থকরা ‘আমরা দাদার অনুগামী’ লিখে সমস্ত জায়গায় পোস্টার দিয়েছেন। অন্যদিকে, শুভেন্দু কে বিজেপিতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন BJYM এর রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। এর পরেই, শুভেন্দুর বিজেপিতে আসা নিয়ে সম্ভাবনা দৃঢ় হয়েছে।
তবে, এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় এই বিষয়টি স্পষ্ট যে, শুভেন্দু সঙ্গে অমিত শাহের কোন কথা হয়নি। তবে, তিনিও শুভেন্দুকে দলে পেতে অত্যন্ত আগ্রহী বলে মনে হলো এদিন।