কিছুদিন আগে লোকসভা ভোটে গেরুয়া শিবিরকে সাহায্য করেছিল সিপিএমের লোকেরা। এরপর আসন্ন ২০২১ বিধানসভা ভোটে সিপিএম কর্মীদের দলে আনতে হবে। এমনই বেফাঁস মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বাংলা সফরে এসে বাঁকুড়ায় দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে বৈঠকের সময় এমন বার্তা দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে বাংলার রাজনীতিতে প্রবল চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
গত লোকসভা ভোটে বিজেপি ১৮ টি আসন পেয়েছিল। তারপরে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, সিপিএম নিজের ভোট বিজেপি কে দিয়ে দিয়েছে। বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাজিত করার জন্য শেষ পর্যন্ত সিপিএম তাদের আদর্শ বিকিয়ে দিচ্ছে। বাঁকুড়ার সভায় অমিত শাহের বক্তব্য তৃণমূলের অভিযোগকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলছে।
বাঁকুড়ার কর্মীসভায় অমিত শাহ সরাসরি বার্তা দেন, লোকসভা ভোটে দলে যোগ না দিয়েও সিপিএম নেতারা অনেক সহযোগিতা করেছিল। এবার বিধানসভা ভোটে তাদেরকে দলে আনতে হবে। এই কথার পরিপ্রেক্ষিতেই তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাম বাম যোগে সরব হয়েছেন। তিনি বলেছেন, শেষপর্যন্ত ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে গেল। বাংলায় সিপিএম এখন বিজেপিকে অক্সিজেন দিচ্ছে। সবাই জোট গঠন করে একাধারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকানোর চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে সিপিএম শিবির এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। বামেদের রামে যাওয়ার কথা অস্বীকার করে সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ী বলেছেন, বিজেপিতে কি লোকের অভাব হয়েছে নাকি? আর বামেদের আদর্শ কখনো পরিবর্তন হয় না। তিনি বরং উল্টে তৃণমূল শিবিরকে আক্রমণ করে বলেছেন, এখন তো বরং দেখা যাচ্ছে রামের দলে ফুলেরা চলে যাচ্ছে। যেই দলে তৃণমূলের লোক আছে সেই দলে বামেরা যাবে এটা ভাবাও দিবাস্বপ্ন।