সম্প্রতি আদালতে অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী ও তাঁর স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকীর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা শুরু হয়েছে। আলিয়া খোরপোষ হিসাবে 30 কোটি টাকা ও মুম্বইয়ের ইয়ারি রোডে 3 বিএইচকে-র একটি ফ্ল্যাট দাবি করেছেন। এছাড়াও আলিয়া নিজের নাম পরিবর্তন করে অঞ্জনা পান্ডে করেছেন। বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়ে আলিয়া একাধিকবার সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বললেও নওয়াজ তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনো কথা বলতে চাননি। তবে তিনি তাঁর ও আলিয়ার কন্যাসন্তান শোরার দায়িত্ব নিতে চেয়েছেন। এই মুহূর্তে শোরা ও তার ভাই ইয়ানি তাদের মা আলিয়ার সঙ্গে রয়েছে। নওয়াজ জানিয়েছেন, তিনি তাঁর মেয়েকে অত্যন্ত ভালোবাসেন। অপরদিকে নওয়াজের ভাইঝি সাশা সিদ্দিকী নওয়াজের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন।
গত 6ই মে, বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন নওয়াজের স্ত্রী আলিয়া। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে বিয়ের সময়ও নওয়াজ অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। বিয়ের আগে থেকেই আলিয়া তা জানতেন। নেটিজেনদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, সব কিছু জেনেও আলিয়া কেন নওয়াজকে বিয়ে করেছিলেন! আলিয়া নওয়াজের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেন, নওয়াজ তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ না করলেও প্রচন্ড চিৎকার-চেঁচামেচি করে অশান্তি করতেন যা আলিয়ার অসহ্য লাগতো। নওয়াজ ও আলিয়ার দুই সন্তান শোরা ও ইয়ানির মানসিকতায় এই ধরনের অশান্তির প্রভাব পড়ছিল। নওয়াজের বান্ধবীরা আলিয়ার সামনেই নওয়াজের কাছে আসতেন। তাঁদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন নওয়াজ। এই সময় আলিয়া বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেন। এই বিষয়ে আলিয়া প্রতিবাদ করতে গেলে নওয়াজের দাদা শামাস আলিয়ার গায়ে হাত তোলেন। আলিয়ার প্রতি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনকে একজন মেয়ে হয়েও সমর্থন করতেন নওয়াজের মা। আলিয়া নওয়াজের মা ও দাদার বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ করেছেন।
নওয়াজের আইনজীবী দাবি করেছেন, আলিয়া মামলা জেতার জন্য নওয়াজের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। কিন্তু কিছুদিন আগে নওয়াজ তাঁর জীবনের ঘটনা লেখার সময় এক প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়ার সঙ্গে তাঁর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন। তিনি অকপটে লিখেছেন, তিনি জানতেন, আলিয়াকে তিনি ঠকাচ্ছেন। কিন্তু নিজের প্রতি সংযম আনতে পারেননি তিনি। তিনি জানিয়েছেন শারীরিক চাহিদার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মহিলাদের ব্যবহার করেছেন তিনি।