শিল্পের জন্য জমি দেওয়ার পদ্ধতি আরো বদল করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এবার থেকে সিঙ্গেল উইন্ডো পদ্ধতির মাধ্যমে শিল্পপতিরা শিল্প স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় জমি পেয়ে যেতে চলেছেন খুবই সহজে। এতদিন বড় শিল্পের জন্য জমি পেতে হলে আবেদন করতে হতো WBIDC এর কাছে। অন্যদিকে, ছোট শিল্পের জন্য আবেদন করতে হতো WBSIDC এর কাছে। এছাড়াও যদি পরিকাঠামো তৈরি করতে হতো তাহলে জমির আবেদন করতে হতো WBIIDC এর কাছে। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের জন্যেও ওই দপ্তরের কাছে আবেদন করতে হতো। আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পরে সেই আবেদন খতিয়ে দেখে তারপরে জমি বরাদ্দ করা হতো, যার ফলে জমি পেতে পেতে বেশ খানিকটা সময় লেগে যেত। কিন্তু এখন থেকে আর অতটা সময় লাগবে না জমি পেতে। খুব সহজে শিল্পপতিরা পেয়ে যাবেন রাজ্য সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় জমি।
রাজ্য সরকারের নিয়মাবলী হিসেবে, বড় মাঝারি এবং ছোট শিল্প এবং তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প তৈরি করার জন্য পৃথক ভাবে আবেদন করতে হতো এতদিন। এই আবেদন থেকে জমি পেতে পেতে অনেক দেরি হতো। পাশাপাশি এই আবেদনের জন্য একাধিক সংস্থা এবং দপ্তর তৈরি করতে হয়েছিল। কিন্তু এবার সেই নিয়ম থেকে সরে আসতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এবার থেকে ছোট-বড়-মাঝারি যেকোনো শিল্পের জন্য একটি জায়গা থেকেই জমি পেয়ে যাবেন শিল্পপতিরা। আলাদা আলাদা দপ্তরে আবেদন করার আর প্রয়োজন থাকবে না এবং এতে রাজ্য সরকারের কাজের সময়ও বাঁচবে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোন শিল্পপতির জমি প্রয়োজন হলে তা সিঙ্গেল উইন্ডো থেকে পাওয়া যাবে। এই মর্মে রাজ্যের শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান রাজীব সিনহা বলেছেন, ” এতদিন জমি পেতে যে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো নতুন নিয়মের ফলে তা আর করতে হবে না। আপনারা দ্রুত জমি অধিগ্রহণ করে কাজ শুরু করতে পারেন আপনার স্বপ্নের প্রোজেক্টের জন্য।
যে সব জায়গাতে শিল্পের জন্য জমি তৈরি হয়েছে তার তালিকা দেখে নিন :
১) মুর্শিদাবাদ -১২৯ একর
২) পশ্চিম মেদিনীপুর – ৪৭৪ একর
৩) জলপাইগুড়ি / শিলিগুড়ি – ৮৪ একর
৪) হাওড়া – ৩৫ একর
৫) বাঁকুড়া – ১৮ একর
৬) আলিপুরদুয়ার – ৫৪ একর
৭) দক্ষিণ ২৪ পরগনা – ২২৭ একর
৮) হুগলি – ১০ একর
৯) পশ্চিম বর্ধমান – ৩৮০ একর
মোট মিলিয়ে দাঁড়ায় – ১,৪১১ একর