সংগঠনে কোনও ফাঁকিবাজি না। ছোট ফাঁক ফোকর ও বরদাস্ত নয়। আর সেই জন্যই নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পাঁচ জন নেতার ওপরে। এরা সবাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী র খুব কাছের। কর্মসূচির কাজ তারা ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন।
বাংলা জয়ে বিজেপির ফর্মুলা ২৩। শাহের নির্দেশে সেই ২৩ দফা কর্মসূচি পালনের দিকেই এগোচ্ছে বিজেপি। এই বিষয়ে বুথস্তরের কর্মীদের ও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জনসংযোগের। মেরা বুথ সবচেয়ে মজবুত, নামক এক কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দিয়েছে শিবির। অন্যদিক দেওয়া হয়েছে বেশি করে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের নির্দেশ। জেলা থেকে বুথস্তর পর্যন্ত অনেকটাই মজবুত হয়েছে সংগঠন। তবে সেখানেই থামতে চাননা তারা। আরও মজবুত করতে চান সংগঠন। তাদের মতে সংগঠন পিরামিডের মতো হলেই সম্ভব লড়াই। তাই তা মজবুত করার লক্ষ্যেই আছে গেরুয়া শিবির।
সম্প্রতি বঙ্গ ভ্রমণে এসেছিলেন শাহ। সেখানে এসে তিনি দিয়ে গিয়েছিলেন ২০০ আসনের টার্গেট। দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জিতে সরকার গড়বেন তারপর তারা। শাহ এর বক্তব্য,”আমাদের এই দাবীতে অনেকে হাসতে পারে। কিন্তু তাদের মনে রাখা উচিৎ লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি যখন দাবি করেছিল যে তারা জিতবে ২২ টি আসন, তখন অনেকেই হেসেছিলেন। কিন্তু শেষে ১৮টি জিতল দল। একাধিক আসনে হেরেছিল ৫-১০ হাজার ভোটে। তখন মানুষ বুঝছিল যে কোন ধরণের পরিকল্পনা করেছিল বিজেপি।”
অন্যদিকে বিহারে ফল প্রকাশের দিন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল বাংলা সম্পর্কে। সেই সময় তিনি বলেন যে, বিহারের থেকে অনেক ভালো ফল হবে বাংলায়। বড় ব্যবধানে জয়ী হবেন তারা। তিনি বলেছিলেন,”বিজেপি নেতারা যখন মানুষের কাছে যাচ্ছেন মানুষের বিরক্তির কথা তারা বুঝতে পারছেন। অন্যদিকে মানুষও নেতাদের ভালোবাসা দিচ্ছেন এবং স্নেহ দিয়ে কাছে টেনে নিচ্ছেন তাদের।”
অন্যদিকে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় আগেই বলেছেন, সারা দেশে এখনও জাদু বজায় রয়েছে মোদীর। ফলে বিহারেই নয়, বাংলায় ও ২১ এর ভোট হবে বিজেপির নামে।