উত্তর ২৪ পরগনা: এবার আপনার হাতের মুঠোয় চলে আসতে পারে সুন্দরবন। জলপথকে যদি আপনি ভয় পান, তাহলে এবার জলপথ এড়িয়ে সড়কপথে আপনি পৌঁছতে পারেন আপনার পছন্দের গভীর অরণ্য সুন্দরবনে। আপনি সহজেই লেন্সবন্দি করতে পারবেন সেখানকার কুমির এবং দক্ষিণরায়কে। অবাক হচ্ছেন তো? ভাবছেন এটা কী করে সম্ভব? অসম্ভবকে সম্ভব করতে চলেছে রাজ্য সরকার। আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আর ঠিক তার আগেই ২২টি সেতুর মাধ্যমে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে সুন্দরবনের একাধিক ব্লককে যাতে উপকৃত হবে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
করোনা পরিস্থিতির ফলেই রাজ্যে পর্যটনশিল্প কার্যত ধুঁকছে। যদিও পুজোর থেকে বা পুজোর পরে অনেক পর্যটকরাই পাহাড়ের দিকে ঢুকেছে। এমনকি দার্জিলিং, সিকিম ইত্যাদি জায়গায় পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছে। তবুও শীতের মরশুমে যেভাবে পর্যটন শিল্পে উন্নতি দেখা যায়, এ বছর তা দেখা যাচ্ছে না। আর তাই কোভিড আবহে পর্যটনশিল্পকে আরও চাঙ্গা করতে রাজ্য সরকার এই পদক্ষেপ নিতে চলেছে।
জানা গিয়েছে, ২২টি সেতুর মাধ্যমে সুন্দরবনের একাধিক ব্লককে জুড়ে দেওয়ার ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থান বাড়বে। এমনকি জলপথ ছাড়াও গাড়ির মাধ্যমে সুন্দরবনের সেইসব ইন্টেরিয়ার জায়গায় পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হবে, যেখানে এতদিন যাওয়া সম্ভব ছিল না। ফলে গতি আসবে পর্যটনশিল্পে, এমনটাই মনে করছে রাজ্য সরকার।
সুন্দরবনকে মূলত জলপথকেন্দ্রিক ভ্রমণ স্থান বলা হয়। আর তাই জলপথ নির্ভরশীল হওয়াকে কমানোর লক্ষ্যে সড়কপথে জোর দিতে চাইছে রাজ্য। সেতুগুলির মাধ্যমে জুড়ে ফেলা হবে কাকদ্বীপ-পাথরপ্রতিমা, বাসন্তী-গোসাবা, নামখানা-কাকদ্বীপ, জয়নগর-মথুরাপুর, হাড়োয়া-বারাসাত। জানা গিয়েছে, নির্মীয়মাণ এই ২২টি সেতুর মধ্যে ১২টি বড় সেতু এবং ১০টি ছোট সেতু তৈরি করা হবে। সব মিলিয়ে যে সকল পর্যটকরা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সুন্দরবনে ভিড় জমায় প্রতি বছর, তাদের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট ফলপ্রসূ এবং সুবিধাজনক হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।