বঙ্গ রাজনীতিতে শোভন বৈশাখী বহু চর্চিত একটি বিষয়। এরইমধ্যে দিলীপ ঘোষ বিজয়া সম্মিলনীতে শোভনকে আমন্ত্রণ জানালেও তার বান্ধবী বৈশাখীকে আমন্ত্রণ জানায়নি। এরপরই শোভন অভিযোগ জানিয়েছে, “বিজেপি তার এবং বৈশাখীর মধ্যে বিভাজন ঘটাতে চাইছে। তাই তিনি বৈশাখের সম্মানের কথা ভেবে বিজেপির সমস্ত অনুষ্ঠান বয়কট করবেন।” এর ফলে বিজেপির সঙ্গে শোভন বৈশাখীর সম্পর্কে ফের নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হল। সম্প্রতি শোভন-বৈশাখী সঙ্গে মেনন অমিতাভের বৈঠকের পর শোভনের বিজেপিতে সক্রিয় হওয়ার আঁচ পাওয়া গেলেও তা এখন নিস্পৃহ বলা যেতেই পারে।
অন্যদিকে বিজেপি ও শোভন-বৈশাখীর সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র খোঁচা দিয়েছেন রত্না। রত্না বলেছেন, “আমি বৈশাখীর সাথে বিভাজন ঘটিয়ে শোভনকে বাড়ি ফেরাতে পারিনি। যদি শোভন বৈশাখী মধ্যে বিভাজন বিজেপি করতে পারে তাহলে আমি বিজেপিকে ধন্যবাদ জানাবো।” তিনি আরো অভিযোগ জানিয়েছেন, “বৈশাখী সব জোর করে আদায় করে নিতে চায়। কিন্তু জোর করে কোন কিছুই করা যায় না। যদি আমাকে তৃণমূল অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানায় তাহলে কি আমি জোর করে যেতে চাইব? কিন্তু বৈশাখী সেটাই করার চেষ্টা করছে।”
এছাড়াও রত্না বলেছে যে তিনি বর্তমানের শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দেখে রীতিমত স্তম্ভিত। গত ২২ বছর ধরে যে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে তিনি চেনেন তা এখন সম্পূর্ণভাবে ভিন্ন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিজয়া সম্মিলনিতে বৈশাখী ডাক না পাওয়ায় শোভন যেমনভাবে বিজেপি অনুষ্ঠান বয়কট করল তার মাধ্যমে বোঝা যায় যে শোভনের কাছে এখন রাজনীতিটা গৌণ, বৈশাখী সব।
অন্যদিকে শোভন চট্টোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করছে। আমি এবং বৈশাখী দুজনেই বিজেপির রাজ্য সমিতির আমন্ত্রিত সদস্য। কিন্তু আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও অন্যজনকে জানানো হবে না তা মেনে নেওয়া যায় না। তাই আমি বিজেপি সমস্ত রকম অনুষ্ঠানে গরহাজির থাকবো।” এই ঘটনার পর স্বভাবতই বিজেপির সঙ্গে শোভন-বৈশাখী সম্পর্কে আরও জট পাকলো।