বলিউডবিনোদন

গর্ভে দ্বিতীয় সন্তান, হাঁটাচলা ঠিক রাখতে ১০ লক্ষ টাকার জুতো কিনলেন করিনা কাপুর

Advertisement

বেবো বলুন বা করিনা কাপুর খান। পতৌদি বাড়ির গৃহবধু তিনি। স্বামী আর বড় ছেলে তৈমুর আলি খানের সাথে দিব্যি সংসার করছেন এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি ৮ বছরে পা দিল সইফ আলি খান এবং করিনা কাপুর খান। করিনার প্রথম বিয়ে হলেও সইফের ছিল এটি দ্বিতীয় বিয়ে। আর করিনা সইফের অতীত আর তার দুই ছেলে মেয়ে জেনেই অভিনেতার প্রেমে পড়েন। এদের সুখের সংসারে সইফের পুরোনো স্ত্রী কোনোদিন বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। বরং ইব্রাহিম ও সারা আলি খান স্বচ্ছন্দে তাদের বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীকে মেনে নিয়েছেন। এমনকি ছোট তৈমুরকে এরা চোখে হারায়। প্রায়শই ভাইকে নিয়ে নানান ছবি পোস্ট করে থাকেন।

প্রথম সন্তান তৈমুর আলি খানকে নিয়ে বেশ খুশিতেই দিন কাটছে নবাব সাব এবং বেগম জানের। এর মধ্যে এই মিষ্টি দম্পতির ঘরে এলো আরো বড়ো সুখবর। ২০ সালটা অন্যদের জন্য খারাপ হলেও এদের জন্য বেশ সুখের। করোনা আবহে লকডাউনের মাঝে ১২ আগস্ট অগাস্ট সইফ আলি খান ঘোষণা করলেন, তাঁর বেগম আবার মা হতে চলেছেন। ঘরে আলো করে আসছে দ্বিতীয় সন্তান। ওই ঘোষণার পর থেকেই বলিউডের এই মিষ্টি দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেন সেলেব থেকে ফ্যানেরা।

দ্বিতীয়বার মা হওয়ার কথায় বেশ খুশি করিনা কাপুর খান ও সইফ আলি খান। সাথে পুরো পরিবার বেশ খুশি। করীনা দ্বিতীয়বার মা হলেও সইফ চতুর্থ বার পিতা হচ্ছেন। কারিনা প্রথম সন্তানের জন্মের আগে অভিনয় করেছিলেন। ঠিক এক ভাবে দ্বিতীয় সন্তান ভূমিষ্ঠের পূর্বে অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি প্রেগনেন্সিতে দিল্লিতে পাড়ি দিয়েছিলেন করিনা ও তাঁর স্বামী ও ছেলেকে নিয়ে। লাল সিং চাড্ডার শ্যুটিংয়ের জন্যই দিল্লিতে চলে যান তিনি। আমির খানের সঙ্গে লাল সিং চাড্ডার শ্যুটিং শেষ করে এরপর পতৌদি রাজপ্রাসাদে উড়ে যান সইফরা।

তিন বছরের তৈমুর এখন খুব শীঘ্রই বড় দাদা হতে চলেছে। ফলে তৈমুরের একটু দায়িত্ব বাড়ছে। আগেও তৈমুরের জন্মের সময় বেবোকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ছেলে না মেয়ে, কী চান তিনি । বেবো জানিয়েছিলেন, ছেলে হোক বা মেয়ে, তা নিয়ে স্বামী স্ত্রীর কোনও মাথা ব্যথা নেই। তবে নিজে তিনি মেয়ে, তাই মেয়েই তাঁর বেশি পছন্দ, এমন ইচ্ছাই তিনি প্রকাশ করেছিলেন। এবারেও তিনি একই কথা পুনরাবৃত্তি করলেন। অবশ্য একটা ইচ্ছের কথাও জানালেন তিনি। সম্প্রতি তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানান, আগের বার যখন ছেলে হয়েছে এবারে মেয়ে হলে ভালো হয়।

Related Articles

Back to top button