মঙ্গলবার তথা আজ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মুখোমুখি হতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, এই বৈঠকের প্রধান বিষয় বস্তু হতে চলেছে করোনা ভ্যাকসিন। কেবল তারা দুইজন নয়, এই বৈঠকে থাকবেন বাকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ও। এই বৈঠকে আলোচনা হবে ভ্যাকসিন হাতে এলে তার বণ্টন নিয়ে, কারা টিকাকরণের অগ্রাধিকার পাবেন এই সব বিষয় নিয়ে।
এই বৈঠকটি হতে চলেছে ভার্চুয়াল ভাবে। এই ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও। আজ দুপুর সাড়ে ১২ টায় শুরু হবে এই ভার্চুয়াল বৈঠক। এইদিন মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে যোগ দেবেন বাঁকুড়া থেকেই। সম্প্রতি করোনা ভ্যাকসিন তৈরি এবং তার বণ্টন নিয়ে কেন্দ্রের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন দেশের সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা। কিন্তু তখন কোনও উত্তর আসেনি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছিল যে এই বিষয়টি তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় পড়ে না। পরবর্তীকালে এই বিষয় ঘিরে শুরু হয় কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর আক্রমণ। তাতে কিছুটা সুর নরম হয় কেন্দ্রীয় সরকারের।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, সব ঠিক ভাবে চললে ২০২১ এর এপ্রিলের মধ্যেই করোনা ভাইরাসের টিকা হাতে চলে আসবে ভারতের। কেন্দ্র সূত্র হতে জানা গিয়েছে যে, তাদের অনুমান, জুন জুলাইয়ের মধ্যে অন্তত ২৫ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে করোনার টিকা। তবে কোন রাজ্যের কীভাবে তা বণ্টন হবে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। কীভাবে এগোবে টিকাকরণের প্রক্রিয়া, কীভাবে করা হবে তা বণ্টন, সেই সব বিষয়েই আলোচনা করা হবে আজকের বৈঠকে।
কেন্দ্রের বিচারে করোনা পরিস্থিতির অনেকটা খারাপ অবস্থায় আছে বাংলা। তবে এই বিষয়ে আপত্তি উঠেছে মমতা সরকারের পক্ষ থেকে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী আজকের বৈঠকে আপত্তি জানাবেন এই বিষয়ে। পজিটিভ কেস এবং রাজ্যের করোনা আক্রান্তে মৃত্যুহার অনেকটাই কমে গিয়েছে। সোমবার বাঁকুড়া সভা থেকে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রের এই ধারণাকে। তিনি বলেছেন,”ইনজেকশন আসতে আরও ৮ মাস সময় লাগবে। ইনজেকশন আমরাও দিতে পারবো। কেবল কেন্দ্রকে বলো কার থেকে নিতে হবে ?”