সম্প্রতি রাজ্য সরকারের সমস্ত মন্ত্রিত্ব পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তার ভবিষ্যত রাজনৈতিক জীবন নিয়ে শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা। অনেকে মনে করছেন, মন্ত্রীত্বের পর এবার তিনি দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দেবেন। সবাই মনে করছেন সেই দল হতে পারে বিজেপি। কিন্তু তৃণমূল নেতা সৌগত রায় শুভেন্দু কে নিয়ে এখনও বেশ আশাবাদী। তার ধারণা, শুভেন্দু শুধুমাত্র মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও, এখনো কোনো রকম জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। আর এই নিয়ে রাজনীতিতে তুমুল জল্পনা শুরু হয়েছে।
শুভেন্দু একের পর এক পদ ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কালীঘাটে নিজস্ব বাসভবনে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে, বৈঠক চলাকালীন মমতা শুভেন্দুর অভিমান ভাঙ্গানোর জন্য তাকে ফোন করেছিলেন।
ফোন করে তিনি জানার চেষ্টা করেছিলেন কি কারনে এই মন্ত্রিত্ব ত্যাগ। একইসঙ্গে তার ক্ষোভের কারণ জানার চেষ্টাও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দুজনের মধ্যে প্রায় বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় বলেও জানা গিয়েছে।তবে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি এখনো।
প্রসঙ্গত এই জরুরি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের উচ্চপদস্থ নেতৃত্ব। ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, সুব্রত বক্সী। এছাড়াও বৈঠকে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ আরো অনেক নেতাকে এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারী কে নিয়ে এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। এই বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চাইছিলেন শুভেন্দু কেন মন্ত্রিত্ব ছাড়ছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সেচ এবং পরিবহন ছিল শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। শুভেন্দুর মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরে, এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কে ওই দপ্তর এর পরবর্তী মন্ত্রী হবেন।
জানিয়ে রাখি শুক্রবার সকালে, সমস্ত সরকারি নিরাপত্তা ছেড়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে চিঠি দিয়ে শুভেন্দু তার মন্ত্রিত্ব পদ ছেড়ে দিয়েছেন। এই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন,” রাজ্যের মানুষের সেবা করতে দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ” এই ইস্তফাপত্র তিনি রাজ্যপালের কাছেও পাঠিয়েছেন। তবে, মন্ত্রিত্ব পদ ছাড়লেও, এখনো বিধায়ক পদ ছাড়েন নি বলেই খবর রাজনৈতিক মহলে।