বাবাকে ছেলে বলেছিলেন, এই বছর তাঁর জন্মদিনে সেরা উপহার দেবেন। সেই কথামতো বাবা উদিত নারায়ণের জন্মদিনেই দীর্ঘদিনের প্রেমিকা শ্বেতা আগরওয়াল-এর সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন গায়ক আদিত্য নারায়ণ। উদিত নারায়ণ ছেলে আদিত্যকে সেটল হতে দেখতে চেয়েছিলেন। ফলে আদিত্য নারায়ণ ও নেহা কক্করের বিয়ের গুজবকে সত্যি ভেবে খুশি হয়েছিলেন তিনি। এমনকি মিডিয়ায় উদিত নারায়ণ বলেছিলেন নেহাকে তাঁর ছেলের জন্য ‘পারফেক্ট’ বলে মনে হয়েছে তাঁর। কিন্তু পরে জানা যায় আদিত্য ও নেহার বিয়ের গুজব তাঁদের মিউজিক ভিডিওর প্রোমোশনের অংশ ছিল। এই ঘটনায় খারাপ লেগেছিল উদিত নারায়ণের। ফলে আদিত্য বাবার জন্মদিনকেই নিজের বিয়ের দিন হিসাবে বেছে নেন এবং শ্বেতার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন।
আদিত্য-শ্বেতার বিয়েতে যথেষ্ট খুশি তাঁদের দুজনের পরিবার। মুম্বইয়ের ইস্কন মন্দিরে আদিত্য ও শ্বেতার আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে হয়। স্ত্রী দীপা নারায়ণের সঙ্গে রীতিমত নাচতে নাচতে ‘বারাত’ নিয়ে ইস্কন মন্দিরে উপস্থিত হন উদিত নারায়ণ। আদিত্য ও শ্বেতার বিয়ের কিছু ফটো ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ফটোতে দেখা যাচ্ছে, আদিত্যর পরনে রয়েছে অফ হোয়াইট রঙের শেরওয়ানি, তার সাথে মানানসই পাগড়ি ও কুন্দনের গয়না। বিয়ের সাজে ‘কুল’ লুক আনার জন্য আদিত্য চোখে সানগ্লাস পরেছিলেন। আদিত্যর পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি হয়েছিল শ্বেতার পোশাক। শ্বেতার পরনে ছিল অফ হোয়াইট রঙের লেহেঙ্গা চোলি। তার সাথে মানানসই করে শ্বেতা পরেছিলেন পোলকির গয়না। করোনা বিধি মেনে সম্পন্ন হয় আদিত্য ও শ্বেতার বিয়ে। এই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন মাত্র পঞ্চাশ জন অতিথি। রবিবার ছিল মেহেন্দি ও সোমবার ছিল ‘হলদি কি রসম’।
2010 সালে আদিত্য ও শ্বেতা অভিনীত ফিল্ম ‘শাপিত’ মুক্তি পায়। এই ফিল্মটি বক্স অফিসে সাফল্য না পেলেও ফিল্মের সেট থেকে শুরু হয় আদিত্য ও শ্বেতার প্রেম। তবে নিজেদের সম্পর্ককে কোনোদিন স্পটলাইটে নিয়ে আসেননি আদিত্য ও শ্বেতা। আদিত্য নিজের বিয়ের ঘোষণা করার সময় শ্বেতার কথা জানতে পারে মিডিয়া।