একুশের নির্বাচনে জোড়াফুল শিবিরকে টক্কর দিতে মাটি শক্ত করছে কংগ্রেস। সেই কারণে এইবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগেই জঙ্গল মহলে প্রচারে যাচ্ছেন প্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বুধবার তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,”আমরা শুধু লড়াই করার জন্য লড়ছিনা। আমরা লড়ছি ক্ষমতা দখল করার জন্য। আমরা লড়ছি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য লড়ছি। আর আমরা বাংলার ক্ষমতায় আসবো।”
আর আসন নিয়ে সমঝোতা নয়। একুশের ভোটে এক সাথে জোট করে লড়ছে কংগ্রেস এবং বামেরা। কিন্তু জোটের মুক করা হোক অধীরকে। ছেড়ে দেওয়া হোক বেশির ভাগ আসন। এমন ভাবনায় বেশ চিন্তা দেখা গিয়েছিল বাম নেতাদের মনে। এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে মাত্র কয়েকটি আসনের সমস্যার জন্য ভেঙে যায় জোটের চিন্তাভাবনা। এইবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবেনা তো? সূত্র হতে জানা গিয়েছে, গোটা বিষয়টি সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে জানান হলে, তিনি যোগাযোগ করেন রাহুল গান্ধীর সাথে। তারপর প্রদেশ কংগ্রেসের ২২ জন নেতার সাথে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন রাহুল। সেখানে তিনি বলেন,” বামের সাথে জোটই ভবিষ্যৎ”। নেতাদের সংযত থাকতেও পরামর্শ দেন রাহুল। সেখানেই শেষ নয়, এক সময় কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত ছিল মুর্শিদাবাদ, মালদহ। সেই সমস্ত জেলায় সংগঠন মজবুত করার কথাও বলেছেন রাহুল গান্ধী।
বৈঠকের পর ভোটের প্রচার সূচি প্রস্তুত করে ফেলে কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেই সূচি অনুযায়ী, ডিসেম্বরে জঙ্গল মহলে যাচ্ছেন সভাপতি অধীর চৌধুরী। এই মাসে তিনি যাবেন উত্তরবঙ্গেও। ৫ তারিখ প্রথম নির্বাচনী সভা করবেন অধীর। সভা হবে পুরুলিয়াতে। সাথে থাকবেন নেপাল মাহাতো। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের পর থেকে পুরুলিয়াতে অনেকটাই দাপট দেখাতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। এরপর ৭ তারিখ রায়গঞ্জে সভা করবেন প্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি। তারপরই হবে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে নির্বাচনী জনসভা।