শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফার দিন মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির সমস্ত সদস্যদের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডেকেছিলেন কলকাতায় বৈঠকের জন্য। সেখানে হাজির হয়েছিলেন সর্বমোট ৫ জন। কিন্তু সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর বিষয় হলো রাজ্যসভায় তৃণমূলের সংসদ মৌসম বেনজির নূর সেই সভায় অনুপস্থিত ছিলেন। মৌসুম নূর এর অনুপস্থিতির পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। তবে কি এবার তিনি অদল বদল করতে চলেছেন?
একের পর এক নেতা যখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন সেই মুহূর্তে মৌসমের অনুপস্থিতি একটি নতুন ইঙ্গিতবাহী হয়ে উঠেছিল। কিন্তু শেষমেশ সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মৌসম নুর এদিন বললেন, তিনি তৃণমূল দলের সঙ্গে রয়েছেন। মৌসম বলেছেন, মালদহে দলের সভানেত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবার খবর সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন। তার আশা আগামী দিনে মালদহে ভালো ফল করবে তৃণমূল কংগ্রেস।
তাকে নিয়ে জলঘোলা হবার পর তৃণমূলের একটি অংশকে দায়ী করেছেন মৌসম বেনজির নূর। তিনি বলেছেন, বিরোধীদের চক্রান্ত থাকতে পারে এই ভুল খবর প্রেরণ করাতে। মৌসম আরো বলেছেন, “আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। পাশাপাশি দলনেত্রীর ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে। আমি এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”
প্রসঙ্গত দিন কয়েক ধরে মৌসম বেনজির নুরকে নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে জল্পনা চলছিল। অনেকে দাবি করছিলেন মালদা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী পদ তিনি ছেড়ে দিতে পারেন। এমনিতেই নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী দল ছেড়ে দিয়ে তৃণমূলকে বিপদের মুখে ফেলেছেন। বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারীকে তৃণমূল ক্লোজড চ্যাপ্টার হিসেবে দেখছে। তার জন্য অন্য কোনো চেষ্টা চালানো হবে না বলে তৃণমূলের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এরইমধ্যে মালদার অন্যতম বড় নেত্রী মৌসম বেনজির নূর যদি শাসক শিবির থেকে বেরিয়ে যান তাহলে অত্যন্ত বড় সমস্যার মধ্যে পড়বে তৃণমূল। এই নিয়ে এতদিন সরগরম ছিল রাজ্য রাজনীতি। তবে শনিবার নিজেই সমস্ত কিছু সাংবাদিক বৈঠকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলেন মৌসম বেনজির নূর। তিনি জানিয়েছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা মিটিংয়ে তিনি যেতে পারেনি শুধুমাত্র তার শারীরিক অসুস্থতার কারণে। একটি মিটিংয়ে যেতে পারেননি মানে এই নয় যে তিনি দল ছেড়ে দিচ্ছেন। এতটা বেশি না ভাবার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি সকলকে।