নদিয়া গয়েশপুরের কর্মী সম্মেলনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সাংবাদিকদের দু’পয়সার প্রেস হিসেবে চিহ্নিত করে তিনি তাদের সেখান থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। তার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এবার কৃষ্ণনগরের সাংসদকে আইনি নোটিশ ধরালেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী তথা প্রবীণ সাংবাদিক স্মরজিত রায়চৌধুরী।
নদীয়ার গয়েশপুর এর এই জনসভায় মহুয়া মৈত্র দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন। সেখানে কয়েকজন সাংবাদিক অতর্কিতে ঢুকে পড়েন এবং রেকর্ডিং শুরু করেন।। সেখানে কেউ তাদের বাধা দেননি। একটি ভিডিও সেখান থেকে ভাইরাল হয়। তাদের একজনকে দেখে মহুয়া মৈত্র জিজ্ঞেস করেন, আপনি কে? তিনি জবাব দেন প্রেস। তখন মহুয়া মৈত্র তাকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। পরবর্তীকালে তিনি দলীয় কর্মীদের বলেছেন,”এই দুই পয়সার প্রেসকে ভেতরে কে ডেকেছে? কর্মীসভা হচ্ছে। সেখানে কাগজে টিভিতে মুখ দেখানোর এতো শখ?”
পরবর্তীতে তিনি টুইটারে ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু ক্ষমা চাওয়ার নাম করে তিনি মিডিয়াকে চরম ব্যঙ্গ করেন। তিনি টুইটারে একটি পোস্ট করেছিলেন যেখানে লেখা ছিল,”অন্যের আবেগে আঘাত করে এরকম কুকথা অথচ সঠিক কথা বলার জন্য তিনি অত্যন্ত ক্ষমাপ্রার্থী।” পাশাপাশি তিনি একটি পুরনো দুই পয়সার ছবি তার সাথে যোগ করে উপরে একটি ক্যাপশন লিখেছেন। সেই ক্যাপশনে লেখা ছিল,” আমার মিম তৈরি দক্ষতা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।”
এই মন্তব্যের পরেই স্মরজিত বাবু মহুয়া মৈত্রকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন। ওই নোটিশে তিনি লিখেছেন,”নদীয়ার ওইজনসভায় সাংবাদিককে দুই পয়সার সাংবাদিক বলে তিনি অপমান করেছেন। তার এই মন্তব্য অত্যন্ত মানহানিকর এবং অপমানজনক।” পাশাপাশি তিনি মহুয়া মৈত্রকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন তিনি ২৪ ঘন্টার মধ্যে সঠিকভাবে ক্ষমা চান। ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, কলকাতার প্রেসক্লাব একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, “কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র সাংবাদিকদের সম্বন্ধে যে মন্তব্য করেছেন তাদের প্রেসক্লাব কলকাতা প্রতিবাদ করছে। তার এই মন্তব্য অত্যন্ত অনভিপ্রেত এবং অপমানজনক। ধিক্কার জানাই সাংসদের মন্তব্যে।”