নিউজপলিটিক্সরাজ্য

“বিজেপির টিকিট লাগবে না কিন্তু তোলাবাজ ভাইপোকে বাংলা থেকে নিশ্চিহ্ন করব”, পূর্বস্থলী থেকে তোপ শুভেন্দুর

Advertisement

গত শনিবার অমিত শাহের বাংলা সফরের প্রথম দিনে পূর্ব মেদিনীপুরের জনসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। এবার বিজেপিতে যোগদান করার পর তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তার ক্ষোভ জনসভার মঞ্চে উগরে দেয় এবং সেইসাথে বাংলা থেকে তৃণমূল উৎখাতের জন্য আহ্বান জানায়। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মেদিনীপুরের পর এই প্রথম জনসভা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। আজকে তার জনসভা ছিল পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর ছাতনিতে। তিনি আজকের সভা থেকে ফের আক্রমণ করেছেন শাসকদলকে।

গতদিন অমিত শাহের জনসভাতেই শুভেন্দু অধিকারী “তোলাবাজ ভাইপো হাটাও” ধ্বনি তুলেছিল। এরপর আজকের সভায় যোগ দিয়ে তিনি বলেন, তৃণমূল দলটা এখন পুরোপুরি প্রাইভেট কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। এটা আর কোনো রাজনৈতিক দল নেই। যাদের হাত তো সম্মান আছে তারা আর এই দলে থাকতে পারবে না। আমি বিজেপি নেতৃত্বকে বলব আমার এমএলএ টিকিটের দরকার নেই। আমি তোলাবাজ ভাইপোর থেকে বাংলাকে বাঁচাতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৬ ঘন্টা কাজ করতে রাজি আছি। বাংলাকে তোলাবাজ ভাইপোর হাত থেকে রক্ষা করতেই হবে। না হলে ওরা রাস্তায় রাস্তায় তোলা তুলছে। গরু, কয়লা, বালি সব পাচার করে ওরা। ইতিমধ্যেই অমিত শাহজির মন্ত্রক ভাইপোর সব কৌশল ধরে ফেলেছে।

এছাড়াও তিনি আজকের সভায় তার তৃণমূল ছাড়ার কারণ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, “অনেকেই আমায় বাংলার মীরজাফর বলছে। কিন্তু আমি আমার নৈতিকতা বিসর্জন দেইনি। আমি প্রথমে তৃণমূলের মন্ত্রিত্ব পদ জেনেছি এবং তারপর বিধায়ক পদ। তারপর এক সাধারন মানুষ হিসেবে আমি একটি রাজনৈতিক দলে অংশগ্রহণ করেছি। ন এতে ভুল কিছু নেই। এটা সাধারণ মানুষের অধিকারের মধ্যে পড়ে। এছাড়া ২০০৪ সালে আমি এনডিএ প্রার্থী হয়ে লড়াই করেছিলাম। তখন আমার এক হাতে ছিল তৃণমূলের পতাকা এবং অন্য হাতে ছিল বিজেপির পতাকা। এখন কী কার্টুন লক্ষণ সেটার বিরুদ্ধে লড়াই করার সাহস ছিল? এছাড়া নন্দীগ্রামের সিঙ্গুর অনশন মঞ্চে উনাকে রাজনাথ সিং প্রথম ফলের রস খাইয়ে দিয়েছিলো। এটা তো ভুলে গেলে চলবে না।”

Related Articles

Back to top button