সিএএ নিয়ে দলের সাথে চলেছে বহু বার টানাটানি। তার মধ্যেই এইবার আবারও গেরুয়া শিবিরের কর্মসূচি এড়িয়ে গেলেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। মঙ্গলবার তথা কাল উত্তর ২০ পরগনার গাইঘাটায় ছিল গেরুয়া শিবিরে যোগদানের মেলা। সেখানে দেখা যায়নি শান্তনু ঠাকুরকে। সাংসদদের স্পষ্ট কথা হল,” আগে আমিত শাহ এসে সিএএ নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান জানাবেন, তারপরে আমি ভাবব দলীয় কর্মসূচির বিষয়ে।”
সিএএ কার্যকর করা নিয়ে বেশ অনেকদিন ধরেই কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন শান্তনু ঠাকুর। গত কয়েক মাস দলের কর্মসূচিতে দেখা যায়নি তাকে। সম্প্রতি ঠাকুরনগরে গিয়ে আর সাথে কথা বলেন বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। কিন্তু সেখানেও চিড়ে ভেজেনি বলে জানা গিয়েছে গত মঙ্গলবার। এইদিনও বিজেপির কর্মসূচিতে দেখা গেলনা শান্তনু ঠাকুরকে।
মঙ্গলবার গাইঘাটায় বিজেপির যোগদান মেলায় দেখা গিয়েছে নেতা শমীক ভট্টাচার্যকে, জেলা সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায়। সেখানে সিএএ কার্যকর করা নিয়ে মতুয়াদের আশ্বস্ত করেন পদ্ম শিবিরের নেতারা। কিন্তু শান্তনু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আগে অমিত শাহ এসে স্পষ্ট করবেন সিএএ এর অবস্থান, তার পরেই দলের অনুষ্ঠানে যোগদান নিয়ে ভাববো।”
গত রবিবার বোলপুরে অমিত শাহ বলেন,”করোনার টিকা বাজারে আসবে এবং করোনা পরিস্থিতি কমার আগে সিএএ নিয়ে ভাবছেনা কেন্দ্রীয় সরকার। তবে বিধি প্রণয়নের চলছে তার কাজ।” এতেই আবারও আশঙ্কার মেঘ দেখা গিয়েছে মতুয়াদের মাঝে।
গেরুয়া শিবির থেকে যদিও দাবী করা হয়েছে যে, সিএএ হবেই। আর তা করবে বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকারই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছেন এই আইনের। যার ফলে তার ওপরে কেউ যদি ভরসা করে, তবে তা হবে সবচেয়ে বড় বোকামি।