করোনার (Corona) নয়া স্ট্রেন নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে ভারতে (India)। ইতিমধ্যেই এদেশে ২৫ জনের দেহে পাওয়া গিয়েছে করোনার নয়া স্ট্রেনের উপস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে বর্ষশেষের রাতে (31st December Night) জমায়েতের মধ্যে দিয়ে যাতে কোনওভাবেই সংক্রমণ বেড়ে না যায়, তার জন্য তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার। এক্ষেত্রে অ্যাডভাইজারি জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক (Health Ministry)। অ্যাডভাইজারিতে (Advisory) সমস্ত রাজ্যকে সুপার স্প্রেডার ইভেন্টগুলির ওপর নজরদারি এবং নিষিদ্ধ ঘোষণা করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারগুলিকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদনও জানানো হয়েছে।
এদিকে ইতিমধ্যেই সমস্ত রাজ্যকে সংক্রমণ ঠেকাতে নাইট কার্ফুর কথা ভেবে দেখার আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্র। সেই পথে হেঁটে আজ, বৃহস্পতিবার ও আগামিকাল, শুক্রবার নাইট কার্ফু জারি করা হবে দিল্লিতে। এমনকি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বর্ষবরণের পার্টিতেও। একইভাবে দেশের বাণিজ্যনগরী মুম্বইতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সমস্ত নিউ ইয়ার পার্টিতে। পাশাপাশি আগামী ৫ তারিখ পর্যন্ত নাইট কার্ফু লাগু করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। নাইট কার্ফুর কারণে সমস্ত রেস্তোরাঁ ও পাবগুলিকে ১১টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। এক্ষেত্রে বর্ষশেষের রাতে ১১টার পর কোনও রেস্তোরাঁ খোলা থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে প্রশাসন।
এদিকে শহর কলকাতাতেও বর্ষশেষের রাতে জমায়েত এড়াতে কোমর বেঁধে মাঠে নামছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ সূত্রে খবর, অন্যান্য বছর বর্ষশেষ তথা বর্ষবরণের রাতে শহর কলকাতায় যে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তা তো থাকছেই, সঙ্গে থাকছে আরও বাড়তি কিছু ব্যবস্থা। বর্ষশেষের রাতে শহরের যে সমস্ত জায়গাগুলি মূলত ভিড়প্রবণ, সেই সমস্ত এলাকায় থাকবে কড়া নজরদারি। পাশাপাশি যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের জন্যও চলবে অভিযান। চলবে নাকা চেকিংও। ইতিমধ্যেই মানুষকে নিরাপদে ও সংযতভাবে বর্ষবরণের উৎসব পালনের আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উৎসবে সামিল হওয়ার ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বর্ষশেষের রাতে কোনওরকমভাবেই ভিড় জমানো যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টও।