শাহরুখ ‘কিং’ খান(shahrukh khan), বলিউডের বেতাজ বাদশা। তাঁর বাংলো ‘মন্নত’ না দেখলে মুম্বই দর্শন পূর্ণ হয় না। এহেন বাদশা, তাঁর স্ত্রী গৌরী (Gauri khan)কে দিল্লীর রাস্তায় বেরোলে ‘বৌদি’ বলে। কিন্তু এই অদ্ভুত পরিচয়ের পিছনে রয়েছে একটি কাহিনী। 2016 সালে কমেডিয়ান কপিল শর্মা (kapil sharma)-র শো-তে এসে শাহরুখ একটি ঘটনা বলেছিলেন। মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে দিল্লীর একটি সহজাত দুর্নাম রয়েছে। দিল্লিতে থাকাকালীন শাহরুখ একদিন একটি পার্কে বেড়াচ্ছিলেন। সেইসময় একটি দরিদ্র মেয়ে এসে তাঁর কাছে ভিক্ষা চায়। শাহরুখ কৌতূহলের বশে মেয়েটির সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন।
সেইসময় কিছু ছেলে সেখানে এসে শাহরুখকে জিজ্ঞাসা করে মেয়েটির পরিচয়। শাহরুখ বুঝতে পেরেছিলেন ছেলেগুলি সুবিধাজনক নয়। তিনি তখন বলেন, মেয়েটি তাঁর বান্ধবী, তবে প্রেমিকা নয়। কিন্তু ছেলেগুলি তা মানতে চাইছিল না। তখন শাহরুখ রেগে গিয়ে ছেলেগুলিকে বলেন, মেয়েটি তাঁর বৌদি। কিন্তু নাছোড়বান্দা ছেলেগুলি শাহরুখকে ধরে মারতে শুরু করে। তারা সেদিন শাহরুখের কথা শুনতে চাইছিল না। এরপর থেকে শাহরুখ গৌরীকে নিয়ে দিল্লীর রাস্তায় বেরোলে বৌদি বলে পরিচয় দেন, তবে অবশ্যই তাঁর সামনের ব্যক্তির বৌদি। কারণ এখন শাহরুখ ও গৌরী দুজনেই বিশ্ববিখ্যাত। তাই তাঁদের চিনতে কারোর কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
শাহরুখ খানের সোশ্যাল ওয়ার্ককে অনুপ্রাণিত করতে 2019 সালে অস্ট্রেলিয়ার লা ট্রোব ইউনিভার্সিটি থেকে তাঁকে সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে। শাহরুখের ‘MEER’ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে শাহরুখ ও তাঁর মেয়ে সুহানা খান ( suhana khan)‘উওম্যান এমপাওয়ারমেন্ট’-এর জন্য কাজ করেন। শাহরুখের এই উদ্যোগ সবার কাছে প্রশংসনীয় হয়েছে।