গাজিয়াবাদ: উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)-এর গাজিয়াবাদ (Ghaziabad)-এর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) গাজিয়াবাদ প্রশাসনের কাছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছেন। ঘটনায় বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হননি।
এফআইআরে যাদের নাম উঠে এসেছে তারা হল- মুরাদাবাদ পুরসভার আধিকারিক নিহারিকা সিং, চুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার চন্দ্রপাল, সুপারভাইজার আশিস এবং ঠিকাদার অজয় ত্যাগী। অভিযোগ, এদের গাফিলত্র কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, এরা ছাড়াও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রবিবার দিল্লি সংলগ্ন উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে। হঠাৎ করেই ভেঙে পড়ে শ্মশানের ছাদ। যার ফলে আহত হয়েছিলেন বহু মানুষ। শুরু হয় উদ্ধারের কাজ। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।
গাজিয়াবাদ থানার মুরাদনগর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। শ্মশানের ছাদ ভেঙে এখনও বহু লোক চাপা পড়ে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গাজিয়াবাদ পুলিশের পাশাপাশি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে দিয়েছে।
এদিন সকাল থেকেই দিল্লি এনসিআর এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছিল। মুরাদনগরের শ্মশানে সেইসময় কয়েকজন এক ব্যক্তির শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। বৃষ্টির কারণে কয়েকজন লোক ছাদের নীচে আশ্রয় নিয়েছিলেন। আর সেই সময়ই মর্মান্টিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে রয়েছে এনডিআরএফ দলও। ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়ার ঘোষণাও করেন। এই দুর্ঘটনায় তদন্ত রিপোর্টও দ্রুত জমা দিতে বলেছেন যোগী।
পুলিশ ইতিমধ্যে উদ্ধার অভিযানের ক্রেনের সাহায্য নিচ্ছে। পুলিশ জানাচ্ছে, গাজিয়াবাদ থানার মুরাদনগর এলাকার উখালারসি গ্রামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর পরে আত্মীয়-স্বজনরা তাঁর শেষককৃত্যের জন্য শ্মশানে নিয়ে যায়। পরিবারটি যখন মৃত ব্যক্তির শেষকৃত্য করছিল, তখন শ্মশান ঘাটের ছাদটি ধসে পড়ে। অনেকে আহত হন।
এই ঘটনায় অনেক মানুষ চাপা পড়ে যান। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধ্বংসাবশেষে আটকা পড়ে থাকা লোকদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করে। এই ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে প্রশাসনের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।