অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত(Sushant singh Rajput)- এর আকস্মিক মৃত্যু বলিউড তথা সমগ্র ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মাদকযোগ নিয়ে এসেছে জনসমক্ষে। ‘দি নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো’ বা এনসিবি জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে(Sameer wankhede)-র নির্দেশে এনসিবি ও মুম্বই পুলিশের একটি যৌথ দল রবিবার মুম্বইয়ের মীরা ভায়ান্ডর এলাকার একটি হোটেলে ‘রেইড’ চালিয়ে দক্ষিণী টলিউড ইন্ডাস্ট্রির এক অভিনেত্রী শ্বেতা কুমারী (sweta kumari) এবং ড্রাগ পেডলার চাঁদ শেখ (chand sheikh) ও সঈদ (saeed)-কে গ্রেফতার করে। ‘রেইড’-এর সময় শ্বেতা ও সঈদ-কে ‘মেফেড্রোন’সমেত হাতে-নাতে ধরা হয়েছে। তাঁরা হোটেলের একটি রুমে ‘মেফেড্রোন’-এর ডিল করছিলেন।
‘মেফেড্রোন’ একটি বিশেষ মাদক। এই মাদকটি সাধারণতঃ ‘এমডি’, ‘মিয়াও মিয়াও’ বা ‘এমক্যাট’ নামে পরিচিত। অভিনেত্রী শ্বেতা কুমারী মাদকচক্রের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ অস্বীকার করলেও তাঁর বাড়ির তল্লাশি করে অল্প মাত্রায় ‘মেফেড্রোন’ পাওয়া গিয়েছে। বিস্তারিত তদন্তের জন্য শ্বেতার মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এনসিবি অফিসাররা চাঁদ শেখ-এর মোবাইলে মাদক ‘ডিলিং’-এর বেশ কিছু ভিডিও পেয়েছেন। শ্বেতা বেশ কয়েকটি তেলেগু ও কন্নড় ফিল্মে অভিনয় করেছেন। এছাড়া তিনি তেলেগু টেলিভিশন শো-তেও কাজ করেছেন। মুম্বইয়ের বান্দ্রা তালাও-য়ের বাসিন্দা চাঁদ শেখ এনসিবির সামনে জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানিয়েছেন, তিনি পূর্বে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে এক্সিকিউটিভ-এর কাজ করতেন। কিন্তু গত বছর প্যান্ডেমিক-এর সময় অনেকের মতোই চাঁদের চাকরি চলে যায়। এই সময় চাঁদের সঙ্গে আলাপ হয় সঈদ-এর। অল্প পরিশ্রমে প্রচুর অর্থ উপার্জনের চেষ্টায় চাঁদ সঈদ-এর মাধ্যমে জড়িয়ে পড়েন মাদকচক্রের সঙ্গে। চাঁদের বান্দ্রা তালাও-এর বাড়ি থেকে চারশো গ্রাম ‘মেফেড্রোন’ পাওয়া গিয়েছে যার দাম আনুমানিক দশ কোটি টাকা।
রবিবার শ্বেতা, চাঁদ ও সঈদ-কে জেরা করার পর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। চাঁদকে সোমবার আদালতে তোলা হলে আদালত তাঁকে 8 ই জানুয়ারি অবধি এনসিবি-র হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। প্রকৃতপক্ষে হায়দরাবাদের বাসিন্দা শ্বেতা ও সঈদ-কে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হবে।