একুশের নির্বাচনের আগে তৃণমূল বিজেপি দ্বন্দ্ব ক্রমশ বঙ্গ রাজনীতিতে উত্তাপ বাড়াচ্ছে। সব রাজনৈতিক দল ভোটের আগে বিভিন্ন প্রকল্পের শুরু করছে। এবারএকসাথে ডাবল ধামাকা দিতে বাংলা গেরুয়া শিবির নতুন একটি প্রকল্পের ঘোষণা করেছে। প্রকল্পের নাম “এক মুঠো চাল”। এই প্রকল্পের মাধ্যমে একদিকে বিজেপি যেমন কৃষকের সামনে নিজেদের ভাবমূর্তি স্পষ্ট করতে চায় ঠিক অন্যদিকে রাজ্যের শাসকদলকে কৃষক বিরোধী হিসাবে দেখাতে চায়। বিজেপির এই নয়া “এক মুঠো চাল” কর্মসূচি সূচনা করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি আগামী ৯ জানুয়ারি পূর্ব বর্ধমানে এসে বিজেপির কর্মসূচি শুভারাম্ভ করবেন।
কি আছে এই বিজেপির “এক মুঠো চাল” কর্মসূচিতে? আসলে পরিকল্পনা অনুযায়ী, রাজ্যের প্রায় ৪৮ হাজার বুথ এলাকায় কৃষক পরিবার থাকে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিজেপি নেতা কর্মীরা ২৪ জানুয়ারির মধ্যে কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অল্প পরিমাণে চাল এবং সবজি সংগ্রহ করে আনবে। তারপর গোটা রাজ্যজুড়ে খোলা হবে কমিউনিটি কিচেন। সেখানে সেই সংগৃহীত চাল এবং সবজি দিয়ে খাবার রান্না করা হবে ২৫-৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। সেই খাবার মূলত কৃষক পরিবার ও এলাকার গরিব মানুষকে দেওয়া হবে। এই প্রকল্পের সূচনা করবেন জেপি নাড্ডা বর্ধমান জেলার কাটোয়ার জগদানন্দপুর গ্রাম থেকে। প্রতীক হিসাবে তিনি ৫ জন কৃষক পরিবার থেকে চাল সংগ্রহ করবেন।
নির্বাচনের আগে বিজেপির এমন এক প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো জনসংযোগ বাড়ানো। সেই সাথে দেশজুড়ে কৃষি আইনের বিতর্কে বিজেপিদের প্রতি যথেষ্ট ক্ষেপে আছে বাংলার কৃষকরাও। তাই বিজেপি এই মুহূর্তে কৃষকদের সামনে তাদের ভাবমূর্তি স্পষ্ট করতে চাই। তারা কৃষককে অন্নদাতা জায়গায় রেখে গরিব মানুষদের সাহায্য করে একসাথে দুটি কাজ করার চেষ্টা করছে। এছাড়াও এই প্রকল্প চলাকালীন কৃষকদের গেরুয়া শিবির বোঝাবে যে রাজ্য সরকারের আপত্তি থাকা সত্বেও রাজ্যে কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী কৃষক নিধি প্রকল্প থেকে বছরে ৬০০০ টাকা করে পাচ্ছে। এরপর আগামী একুশে নির্বাচনে বিজেপির “এক মুঠো চাল” প্রকল্প কতটা সাফল্যজনক তা বোঝা যাবে।