আজ অর্থাৎ বুধবার সকালে অ্যালকেমিস্ট কর্তা ও প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কেডি সিংকে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। তার গ্রেফতারের পরেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। প্রাক নির্বাচনকালে বিজেপি তৃণমূল অপদস্ত করা কোনরকম রাস্তা ছাড়তে চায় না। তাই প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ টাকার দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পরই গেরুয়া শিবির শাসকদলের বিরুদ্ধে এই নিয়ে আক্রমণ হেনেছেন। তার গ্রেপ্তারিকে হাতিয়ার করে ভোটযুদ্ধে কিছুটা হলেও পিছিয়ে দিতে চেয়েছে তৃণমূলকে। কিন্তু তৃণমূল গেরুয়া শিবিরকে পাল্টা জবাব দিতে ভোলেনি। ইতিমধ্যেই কেডি সিং এর গ্রেপ্তারি নিয়ে সরগরম হয়ে আছে বঙ্গ রাজনীতি।
আজ সকালে চিটফান্ড মামলায় ইডি কেডি সিংকে গ্রেফতার করার পরই সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ার শুভেন্দু অধিকারী শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। তিনি বলেছেন, এইসব তৃণমূল নেতারা চিট ফান্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের টাকা লুট করেছে। পঞ্জি স্কিমের আড়ালে হাজার হাজার কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে এরা। এখন এদের সম্পত্তি বেচে গরিব মানুষদের সম্পত্তি ফেরত দেওয়া উচিত। এছাড়াও তিনি বলেছেন, “কান টানলে মাথা আসে। এবার সব রাঘববোয়ালরা ধরা পড়বে।”
অবশ্য শুভেন্দুর কথার পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ। তিনি বলেছেন, “কেডি সিং কে দলে এনেছিল এখনকার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। মুকুল রায় তাকে নিয়ে দলকে ভুল বুঝিয়ে ছিলো। অ্যালকেমিস্ট এর টাকা পেয়েছিলেন মুকুল রায়। অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করা হোক।” সেইসাথে তিনি বলেছেন, “কেডির যদি সত্যি দোষ থেকে থাকে তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত করুক ইডি। কিন্তু এটি যদি শুধুমাত্র নির্বাচনী চমক থাকে বিজেপির তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস আন্দোলনে নামবে।” এছাড়াও একই সুরে কথা বলেছেন তৃণমূল বর্ষিয়ান নেতা সৌগত রায়। তিনি বলেছেন, “ইডি অর্থ মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা। কেডির সাথে তৃণমূলের বহুদিনের আর কোন সম্পর্ক নেই। উনি এখন দল বা রাজ্যসভার সদস্য না। বরং ওনার সাথে সম্পর্ক আছেন মুকুল রায়ের।”