দেশনিউজ

টিকাকরণ শুরু হওয়ার আগেই অযোধ্যায় গন্ডগোল, মৃত নার্স থেকে অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের নাম তালিকায়

Advertisement

নয়াদিল্লি: ১৬ জানুয়ারি (January) দেশ জুড়ে শুরু হচ্ছে করোনার টিকাকরণ (Corona Vaccination)। প্রথম ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে জড়িত ফ্রন্টলাইন হেলফ ওয়ার্কারদের টিকা দেওয়া হবে। কিন্তু তার আগেই সেই তালিকায় বড়সড় গরমিল ধরা পড়ল অযোধ্যায় (Ayodhya)। তালিকায় রয়েছে মৃত নার্স, অবসরপ্রাপ্ত নার্স থেকে চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসকরা। পুরো বিষয়টা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার (UP Govt)।

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে কোভিশিল্ডকে গোটা দেশে বণ্টন করা হয়েছে। বলা হয়েছে ফ্রন্টলাইন হেলফ ওয়ার্কারদের সবার প্রথমে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কিন্তু তার আগেই ছন্দপতন। উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় মৃত নার্স থেকে শুরু করে চুক্তি ভিক্তির চিকিৎসকরাও সেই তালিকায় রয়েছে বলে অভিযোগ। পুরো বিষয়টি সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে সেখানকার স্বাস্থ্য দফতর।

গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জয় প্রতাপ সিং। সেইসঙ্গে তিনি বলেছেন, রাজ্যে চিকিৎসকদের বিরাট ঘাটতি রয়েছে। সেই সমস্যা মেটানোর জন্য দ্রুত কিছু চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের মোট ৮৫২টি কেন্দ্র থেকে কোভিড ভ্যাকসিনের টিকাকরণ হবে। সেই মতো তালিকাও তৈরি হয়ে গিয়েছে। ড্রাই রানের দ্বিতীয় ধাপের জন্য  ১৫০০টি কেন্দ্র তৈরি রাখা হয়েছে। আগামী ১৬ তারিখ থেকে শুরু হবে টিকাকরণ কর্মসূচি। কিন্তু তারে আগেই অস্বস্তিতে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

ইতিমধ্যে কেন্দ্র জানিয়েছে, ১৬ জানুয়ারি প্রথম দফায় গোটা দেশে ৩ কোটি ফ্রন্টলাইন হেলফ ওয়ার্কারদের কোভিড টিকা দেওয়া হবে। কারণ দেশজুড়ে করোনা মোকাবিলায় বেশি ভূমিকা নিয়েছে এই স্বাস্থ্যকর্মীরাই।  এর পরে ৫০ বছর বয়স বেশি এমনদের কোভিড টিকা দেওয়া হবে। এদের সংখ্যা প্রায় ২৭ কোটি। গত সপ্তাহের শনিবার বিকালে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানেই সম্ভবত এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে গোটা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ড্রাই রান শুরু করা হয়েছে। কোভিডের টিকা হিসাবে দুটি ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্রও দিয়েছে কেন্দ্র। একটি ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন অপরটি সেরামের কোভিশিল্ড। সোমবার ভ্যাকসিন বণ্টন নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকও করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

Related Articles

Back to top button