কেশপুরই হতে চলেছে সিপিএমের জন্য শেষপুর। একদিন এই স্লোগান শোনা গিয়েছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) মুখে। আর কেশপুর থেকে সিপিএম কে সরাতে যিনি অন্যতম প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন, সেই নেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) মুখে শোনা গেল লাল শিবিরের প্রশংসা। কেশপুরে দাঁড়িয়ে বামদের সমর্থন চাইলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। উত্তরে শুভেন্দুকে পাল্টিবাজ বলে বিঁধলেন সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ(Susanta Ghosh)।
একই সাথে শুভেন্দুর গলায় এইদিন শোনা গিয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রশংসাও। গেরুয়া শিবিরের নেতা শুভেন্দু বলেন,”বুদ্ধ বাবু সৎ মানুষ, লক্ষ্মণ শেঠরা ছিলেন হার্মাদ।” এর সাথে বাম সরকারের প্রশংসাও করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তার কথায়,”বামেরা তো অনেক ভালো কাজ করেছে। ৭৮ এ পঞ্চায়েত তো বামেরাই করেছে। ভূমি সংস্কার আইন তো জ্যোতিবাবুর করা।” যদিও শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া জবাবই দিয়েছেন বাম নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। তার বক্তব্য,”যে লোকটা কয়েকমাস আগেও বাংলা থেকে লাল ঝাণ্ডা মুছে দেওয়ার জন্য রণহুঙ্কার দিয়েছিল। বিশেষ করে পশ্চিম মেদিনীপুরে লাল ঝান্ডা মুছে দিয়েছে বলে আত্মম্ভরিতার প্রচার করেছিল, সেই লোকটা আজ লাল ঝাণ্ডার লোককে ডাকছে। এর চেয়ে বড় তঞ্চকতা আর হয়না। যারা ধান্দাবাজ, সুবিধাবাদী, পাল্টিবাজ, রাজনীতিতে কোনও আদরর নেই। তারাই এমন কথা বলতে পারে।”
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০১৬ সালের নির্বাচনে ২৫,৭ শতাংশ ভোট ছিল বামেদের। তা কমে ২০১৯ সালে হয়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৫ শতাংশ। সেখানে ২০১৬ তে বিজেপির ভোট ছিল ১০.১ শতাংশ। ২০১৯ এ তা বেড়ে হয় ৪০.৩ শতাংশ। অঙ্ক বলছে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র ভোট বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ৷ আর বামেদের ভোট কমেছে ১৮ শতাংশ মতো৷ অনেকেরই দাবি, বামেদের ভোট গিয়েছে রামে৷ আর বামেদের সেই ভোট ধরে রাখতেই সচেতন ভাবে বার বার শুভেন্দু বাম ভোটারদের সমর্থন চাইছেন, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷