কলকাতা: গৃহবধূর (House Wife) মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য রবীন্দ্র সরোবর (Rabindra Sarobar)এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, গুরুতর অসুস্থ জেনেও ঠিকভাবে চিকিৎসা করাত না শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ১০ বছরেও সন্তান না থাকায় আসত চাপ। মহিলার মৃত্যু নিয়ে কী বলছে পুলিশ (Police)?
রবীন্দ্র সরোবর থানা এলাকার কেয়াতলা রোডে এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃত বছর পঞ্চাশের সোমা চট্টোপাধ্যায় বাড়ির বাকি সদস্যদের সঙ্গে থাকতেন শ্বশুরবাড়িতেই। পরিবার সূত্রে খবর, গত কাল রাতে মৃতের স্বামী শুভ্র চট্টোপাধ্যায় সোমা দেবীর দাদাকে ফোন করে জানান তাঁর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার কথা। খবর পেয়েই তার বাপের বাড়ির লোকেরা সোমা দেবীর শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান বলে দাবি। এরপরই খবর দেওয়া হয় রবীন্দ্রসরোবর থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মৃতের শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা জানান, গতকাল সন্ধ্য়ে সাড়ে সাতটা নাগাদ বাড়িতে বসে শাশুড়ি মায়ের সঙ্গে টিভি দেখার সময়, আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন সোমা চট্টোপাধ্যায় নামে বছর পঞ্চাশের ওই গৃহবধূ। এরপরই ক্রমশ অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে তার। ফোনের খবর দেওয়া হলে, বাপের বাড়ির লোকেরা ছুটে আসার আগেই অসার হয়ে যায় সোমা দেবীর দেহ৷ এরপর তাকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, ওই গৃহবধূকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। এরপরই শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গৃহবধূর বাপের বাড়ির সদস্যরা। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ।
পরিবার সূত্রের খবর, বছর দশেক আগে কেয়াতলা রোডের বাসিন্দা শুভ্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বড়তলা এলাকার সোমা চট্টোপাধ্যায়ের। মৃতের দাদার অভিযোগ, বছর দেড়েক ধরে তার উপর মানসিক নির্যাতন চালাতো শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এমনকি একাধিকবার গুরুতর অসুস্থ হলেও সেভাবে গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা করা হতো না তার বোনের। পরিবার সূত্রে খবর, বিয়ের পর প্রায় ১০ বছর হতে চললেও এখনও পর্যন্ত তাদের কোনও সন্তান হয়নি। এই নিয়েও সংসারে কোন চাপও অশান্তি থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করছেন মৃতের কাকা। গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে রবীন্দ্র সরোবর থানার তদন্তকারী আধিকারিককে। পুলিশ সূত্রে খবর, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে, মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এলেই এই বিষয়ে তদন্ত গতি পাবে বলে জানাচ্ছে পুলিশ।