একুশে নির্বাচনের আগে তৃণমূল দলবদল শাসকদলের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগের বার অমিত শাহের মেদিনীপুরের জনসভাতে একাধিক তৃণমূল নেতাকর্মীরা গেরুয়া শিবিরে গিয়ে যোগদান করেছিল। এক প্রকার সেই দিন তৃণমূলের সাম্রাজ্যে ধ্বস নেমেছিল। এরপর আবারও ৩১ জানুয়ারি বাংলা সফরে ফের আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতিমধ্যেই তৃণমূল বহিস্কৃত নেত্রী বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া ঘোষণা করে দিয়েছেন যে তিনি অমিত শাহের হাত ধরেই বিজেপিতে পদার্পন করবেন। তাহলে এখন প্রশ্ন উঠছে এদিন বিজেপিতে যোগ দেয়ার লিস্টে কি নাম লেখাবেন ডোমজুড়ে বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল?
আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আরামবাগ থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দিল সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, “বৈশালী ডালমিয়ার সাথে অমিত শাহের জনসভায় বিজেপিতে পা রাখবেন আরো কয়েকজন তৃণমূল হেভিওয়েট নেতা। তাদের মধ্যে হয়তো থাকতে পারে সদ্য মন্ত্রিত্ব পদ ছেড়ে দেওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল থেকে শোকজ করা উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষালও।” তিনি সরাসরি দলবদলে প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, “রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এখন তৃণমূলের বেসুরো। ৩১ তারিখ বা ৩০ তারিখ ও কি করবে আমি তো জানিনা। এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বিজেপিতে চলে আসে তাহলে মুখ্যমন্ত্রী ডোমজুড়কে বলবে সেজবোন। অন্যদিকে আবার প্রবীর ঘোষের বেসুরো। তাহলে সে বিজেপিতে চলে উত্তরপাড়া হবে কি মমতার ছোট বোন?”
এছাড়াও এদিন শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে বলেছেন, “নন্দীগ্রামে আমি ওনাকে হারাবই। কে বিজেপির প্রার্থী হবে তা আমি জানিনা কিন্তু কাজ আমি করে দেব। মাননীয়াকে ৫০ হাজার ভোটে হারাবো আমি।” অন্যদিকে শুভেন্দু ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করতে বাদ দেয়নি। তিনি বলেছেন, “বিজেপি আসলে দুটি পুরস্কার দেবে বলে ঠিক করেছি। একটি মিথ্যাশ্রী। যেটা পাবে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। অন্যটি হবে তোলাশ্রী। সেটা পাবে ওর কীর্তিমান ভাইপো।”