কিশোরী নিখোঁজের তদন্তে নেমে নারী পাচার (Women Trafficking) চক্রের সন্ধান পেল পুলিশ। ঘটনায় এই রাজ্যে ও মুম্বই (Mumbai) থেকে মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে মুম্বই থেকে যাদের ধরা হয়েছে তারা ওয়ান্টেড বলে জানা গেছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করছেন পুলিশ (Police) আধিকারিকরা।
জানা গেছে গত পয়লা জানুয়ারি মন্দিরবাজার থানায় এক ব্যক্তি তাঁর মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে মন্দিরবাজার থানার পুলিশ। এরপর সুন্দরবন পুলিশ জেলার এসপি বৈভব তিওয়ারির নির্দেশে গত ৭ জানুয়ারি ঢোলা থানা এলাকা থেকে শাহরুখ হোসেন মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরেরদিন মন্দিরবাজার থানার দাদপুর থেকে সালামত গায়েন নামের আরও একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই দুই জনকে জেরা করে হাওড়ার সাকরাইলের ধুলাগড়ের বাসিন্দা মিঠু নামে এক ব্যক্তির নাম উঠে আসে। এরপর গ্রেফতার করা হয় মিঠুকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এক বড় নারী পাচার চক্র, যার মাথা রয়েছে মহারাষ্ট্রের মুম্বইতে।
এরপর মিঠুকে নিয়ে মুম্বই পাড়ি দেয় মন্দিরবাজার থানার পুলিশ। সেখান থেকে গ্রেফতার কার হয় চক্রের ৩ পাণ্ডাকে। তাদের নাম বালেশ্বর গুপ্তা, সুরাজ বাবু ও রাদিক যাদব। এই ৩ জনই মুম্বই পুলিশের ওয়ান্টেড লিস্টে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তদের ইতিমধ্যেই এই রাজ্যে নিয়ে এসেছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রের আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকরীরা।