করোনা ভাইরাস প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে গতবছরের মার্চ মাস থেকে রাজ্যের সমস্ত স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। তবে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কুলের দরজা খুলে যাবে। স্কুল খুলে গেলেও খুলছে না কলেজের দরজা। গতকাল রাজ্যের সমস্ত কলেজের উপাচার্যের সাথে বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, “এখনই কলেজ খোলা হবে না। খুলবে না হোস্টেলও। আগামী মাসে অর্থাৎ মার্চে অনলাইন মাধ্যমে বিজোড় সংখ্যার সেমিস্টার পরীক্ষা হবে।”
তবে এবার গতকালের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফের সংঘাত শুরু হলো রাজ্য ও রাজ্যপালের মধ্যে। স্কুল খুললেও কলেজ কেন খোলা হবে না সেই প্রশ্ন তুলে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “আমি বারবার মুখ্যমন্ত্রীকে বলি, কিন্তু তা সত্ত্বেও কিছু করার আগে আমাকে জানানো হয় না।” আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর সাংবাদিকদের সামনে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে বলেন। তিনি শিক্ষাব্যবস্থা প্রসঙ্গে বলেছেন, “স্কুল খুললেও এখনই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্লাস চালু হচ্ছে না। সরকার কেন এমন করছে আমার কোন ধারণা নেই। রাজ্য আমাকে কিছু জানায় না। আমি বারবার মুখ্যমন্ত্রীকে বলি কিছু করার আগে আমাকে জানানোর কথা। কিন্তু কোন সময় আমার কথাতে গুরুত্ব দেয়া হয় না। আসলে এই রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বাংলায়।”
এছাড়া এদিন রাজ্যপাল সাংবাদিক বৈঠকে আগামী বিধানসভা ভোট প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমি চাই চলতি বছরের নির্বাচন হোক নিরপেক্ষ ও হিংসামুক্ত। গত পঞ্চায়েত ভোটে রক্ত ঝরেছে। আমি চাই না বিধানসভা ভোটে তেমন কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটুক। আমি রাজ্য পুলিশ কে বারবার বলছি তারা যাতে রাজনীতি থেকে বিরত থাকে। নিরপেক্ষভাবে কাজ করা পুলিশের কর্তব্য।”