করোনাভাইরাস প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে গত বছরের মার্চ মাস থেকে রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল। নতুন বছরের শুরুতেকরণা প্যানডেমিক এর প্রভাব কিছুটা আয়ত্তে আসার পর এবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুল খুলে যাবে। স্কুল খুলে ক্লাস হবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি অব্দি। এবার প্রায় ১১ মাস পর স্কুল খুলতে চলেছে। কিন্তু স্কুল খুললেও মেনে চলতে হবে পর্ষদের দেওয়া নির্দেশিকা। আজ বৃহস্পতিবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ একটি ২৮ পাতার নির্দেশিকা বা করণা প্যানডেমিক গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি স্কুল খুললে প্রত্যেকটি স্কুলে এই গাইডলাইন মানা বাধ্যতামূলক।
আসলে স্কুল খুললেও পড়ুয়াদের সবরকম নিরাপত্তা রাখার কথা ভেবে এগোচ্ছে রাজ্য সরকার। নির্দেশিকায় প্রথমেই জানানো হয়েছে স্কুল খোলার আগে গোটা স্কুল বিল্ডিং এ জীবানুমুক্তকরণের কাজ করতে হবে। স্কুলে উপস্থিত থাকার সময় শিক্ষক শিক্ষাকর্মী ও পড়ুয়াদের মাক্স পরা বাধ্যতামূলক। রুটিন মেনে সমস্ত ক্লাস হলেও ক্লাসের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আসুন আজকের এই প্রতিবেদনে দেখে নিন আপনার বাড়ির ছেলে বা মেয়েকে স্কুলে পাঠাতে হলে কি কি নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।
- স্কুলে মাক্স পরা বাধ্যতামূলক। তবে গ্লাভস বা টুপি পড়া বাধ্যতামূলক নয়।
- স্কুলে ঢোকার সময় সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। এছাড়াও নিয়মিত হাত স্যানিটাইজার করতে হবে।
- প্রত্যেককে নিজের টিফিন ও জলের বোতল আনতে হবে।
- কোন ধাতব আংটি বা চেন পড়া যাবে না।
- কোন অসুস্থ থাকলে স্কুলে আসা যাবেনা। এছাড়া আপাতত স্কুলের খেলাধুলা ও শরীরচর্চা ক্লাস বন্ধ থাকবে।
১২ ফেব্রুয়ারি ১১ মাস পর রাজ্যের সমস্ত স্কুলগুলি আবারো খুলতে চলেছে। ইতিমধ্যেই সরকারি নির্দেশিকা স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে প্রায় ৪০ লাখ পড়ুয়া স্কুলে যাওয়া শুরু করবে। এবার কোভিড প্রটোকল মেনে স্কুলগুলিতে ক্লাস করানো প্রত্যেকটি স্কুলের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।