বিয়ের জল গায়ে পড়তেই নববধূ তৃণা চোখ মারলেন নীলকে, ঘনিষ্ঠ হয়ে ছবি তুললেন নবদম্পতি
4 ঠা ফেব্রুয়ারি অর্কিড গার্ডেন্সে ছিল টেলিটাউনের হট অ্যান্ড হ্যাপেনিং কাপল অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য (Nil bhattacharya) এবং অভিনেত্রী তৃণা সাহা (Trina saha)-এর বিয়ের অনুষ্ঠান। একমাত্র ছেলে নীলের বিয়েতে বরযাত্রী অর্কিড গার্ডেন্সে ঢোকার সময় টাকার হরির লুট দেন নীলের বাবা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নীলের বাবার এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে নীল ও তৃণার আমন্ত্রণে তাঁদের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তৃণা তাঁর জন্মদিনের দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়ে তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন। তবে মমতা কিছুক্ষণের জন্য এসে নীল ও তৃণাকে আশীর্বাদ করে চলে যান।
এদিন বোটে চেপে জলপথে বিয়ের আসরে পৌঁছেছেন নীল। পানপাতায় মুখ ঢেকে পিঁড়িতে বসিয়ে নিয়ে আসা হল তৃণাকে। বাঙালি বিয়ের রীতি মেনে বরের চারপাশে পিঁড়িতে বসা কনেকে ঘোরানো হল। শুভদৃষ্টির সময় তৃণা লজ্জা না পেলেও নীল ‘ব্লাশ’ করছিলেন। এরপরেই ছিল মালাবদলের পালা। মালাবদলের সময় নীলের বন্ধুরা নীলকে উঁচুতে তুলে ধরেছিলেন। অপরদিকে তৃণার ভাইয়েরাও উঁচুতে তুলে ধরেছিলেন তৃণার পিঁড়ি। তাও বহু কষ্টে নীলকে নাগালে পেয়ে তৃণা পরিয়ে দিলেন মালা। সবচেয়ে মজাদার ছিল সিঁদুর দান পর্ব। নীল তৃণার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিতেই চারপাশে বন্ধুরা চিৎকার করে ওঠেন ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ বলে। একই সঙ্গে হেসে ফেলেন তৃণাও। নীল ও তৃণার বিয়ের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল হয়েছে।
টিম ‘কৃষ্ণকলি’ ও টিম ‘খড়কুটো’-এর সবাই আমন্ত্রিত ছিলেন নীল ও তৃণার বিয়েতে। ‘খড়কুটো’-র সোহিনী সেনগুপ্ত (Sohini sengupta), অম্বরীশ ভট্টাচার্য (Ambarish Bhattacharya), রাজা গোস্বামী (Raja Goswami), দেবোত্তম মজুমদার (Debottam Majumder), রাজন্যা ঘোষ (Rajanya Ghosh), রত্না ঘোষাল (Ratna Ghoshal), জয়শ্রী মুখার্জী (Jayashree mukherjee) বিশেষ ভাবে নজর কেড়েছেন নীল ও তৃণার বিয়েতে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জী (Srijit Mukherjee) ও তাঁর স্ত্রী রাফিয়াত রাশিদ মিথিলা (Rafiyat Rashid mithila)। মিথিলার পরনের আকাশী রঙের ঢাকাই শাড়ি ও হাতের আকাশী রঙের ব্যাগ সকলের আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। এদিন নীল ও তৃণা বাসরঘরে দুজনে দুজনের জন্য গান গেয়েছেন মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে। ‘কৃষ্ণকলি’ ও ‘খড়কুটো’ -এর অনেকেই মাতিয়ে দিয়েছেন আসর। কেউ কেউ আবার গিটার বাজিয়ে নীল ও তৃণার সঙ্গে সঙ্গত করেছেন। তবে বাসরঘরে নীল চনমনে থাকলেও বিয়ের ধকলে ক্লান্ত লাগছিল তৃণাকে। বাসরঘর থেকেই বাসরের কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন নীল। তবে বিয়ের পরের দিন সকালেই তৃণা শেয়ার করলেন একটি ছবি যেখানে তৃণা চোখ মারছেন ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে। ছবিতে নবদম্পতি ঘনিষ্ঠ হয়ে রয়েছেন। ছবিতে তৃণার মাথায় জ্বলজ্বল করছে লাল সিঁদুর ও কপালে লাল টিপ।
3রা ফেব্রুয়ারি ছিল নীল ও তৃণার মেহেন্দি অনুষ্ঠান। তাঁরা দুজনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন মেহেন্দির ছবি। ছবিতে দেখা গেছে, মেহেন্দি অনুষ্ঠানে তৃণার পরনে ছিল রূপোলি রঙের লেহেঙ্গা-চোলি। তার সঙ্গে মানানসই করে তৃণা পরেছিলেন সোনার নেকপিস ও ইয়ারিং। নীলের পরনে ছিল সাদা রঙের প্রিন্টেড পাঞ্জাবী। নীলও নিজের হাতের পাতায় মেহেন্দি দিয়ে হৃদয় এঁকে লিখেছেন তৃণার নাম। তৃণার মেহেন্দি অনুষ্ঠানে ছিল গানের আয়োজন। এই মুহূর্তের কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তৃণা। তৃণা নিজের মেহেন্দির ছবি শেয়ার করে ক্যাপশন দিয়ে লিখেছেন, তাঁর ও নীলের প্রেমকাহিনী তাঁর সবচেয়ে বেশি প্রিয়। 14 ই ফেব্রুয়ারি পি.সি.চন্দ্র গার্ডেনে হবে নীল ও তৃণার গ্র্যান্ড রিসেপশন। বিয়ের পর নীল ও তৃণা হানিমুনের জন্য গ্রীস রওনা হবেন বলে জানা গেছে।