একুশের নির্বাচনের আগে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি ভোট প্রচার উদ্দেশ্যে পূর্ণ উদ্যমে কাজে নেমে পড়েছে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জনসভা করছে। এরমধ্যে গেরুয়া শিবির এবারের বিধানসভা নির্বাচন জেতার জন্য নাছোড়বান্দা। তারা মাঝে মাঝেই তাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের দিল্লি থেকে বাংলায় এনে ভোট পূর্ববর্তী মুহূর্তের চূড়ান্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে নিচ্ছে। সেই অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহে প্রায় কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন বিজেপি শীর্ষ নেতারা বাংলায় আসছে। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বাংলায় আসছে।
কিছুদিন আগে ঠাকুরনগরে জনসভা করার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। কারণ বিধানসভা ভোটে ঠাকুরনগরের মতুয়া ভোট ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হতে পারে খুব ভালভাবেই জানে গেরুয়া শিবির। মতুয়ারা অমিত শাহের থেকে CAA সম্বন্ধিত কেন্দ্রের ভাবনা বিস্তারিতভাবে জানতে চায়। কিন্তু কিছুদিন আগের অমিত শাহের ঠাকুরনগর এর জনসভা জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে বাতিল হয়ে গিয়েছিল। তখন থেকেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর জন্য জনসভা মঞ্চ বাধা আছে। শুধু তার আসার অপেক্ষা। এছাড়াও মতুয়ারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছে কবে অমিত সাহা এসে নাগরিকত্ব আইন সম্বন্ধে কেন্দ্রীয় চিন্তা ভাবনার কথা স্পষ্টভাবে জানাবে।
আজ শনিবার ঠাকুরনগরের বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন যে তিনি আজকেই দিল্লি থেকে বৈঠক করে ফিরেছেন। অমিত শাহ আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩ টে নাগাদ ঠাকুরনগরের বাঁধা সভামঞ্চে এসে জনসভা করবেন। শান্তনু ঠাকুর আশ্বাস দিয়েছেন যে এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসে নাগরিকত্ব আইন সম্বন্ধে কিছু সদর্থক বার্তা দিতে পারেন।