নয়াদিল্লি: সোমবার (Monday) রাজ্যসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে দেশে চলতে থাকা কৃষক আন্দোলন নিয়ে মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সংসদে দাঁড়িয়ে মোদী বলেন, আন্দোলনকারীরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসুন, আন্দোলন প্রত্যাহার করুন। এর কয়েক ঘণ্টার বিরুদ্ধে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ফের তোপ দাগতে দেখা গেল লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে (Adhir Ranjan Chowdhury)। অধীর বলেন, ‘দেশে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে যেখানে দেখান হচ্ছে মুসলিমরা দেশের শত্রু। সেই সঙ্গে কৃষকদেরও দেশের শত্রু প্রমাণের চেষ্টা চলছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কৃষকদের সঙ্গে কথা বলার সময় নেই। কত অহঙ্কার তাঁর। অহঙ্কার মানবতার ক্ষতি করে। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের দাবি মেটান উচিত।’
কৃষক আন্দোলনের জেরে হরিয়ানার বিজেপি সরকারের প্রতি ক্রমেই বাড়ছে ক্ষোভ। এনিয়েও ভারতীয় জনতা পার্টিকে কটাক্ষ করেছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ। অধীর বলেন, পঞ্জাবে হেরেছে বিজেপি, এবার হরিয়ানাও হাত থেকে যাবে। উত্তরপ্রদেশ বিধানভা নির্বাচনেও মুখ থুবড়ে পড়বে গেরুয়া শিবির। তাঁর কথায় কৃষকরা আমাদের অন্নদাতা, আর লালকেল্লা আমাদের পরিচয়।
গত ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন লালকেল্লায় জাতীয় পাকার পাশে অন্য পতাকা দেখা গিয়েছিল। এই নিয়ে রাজনীতিতে ঝড় ওঠে। কৃষকদের বেলাগামা আন্দোলনকেই নিশানা করে কেন্দ্র। এ নিয়েও কেন্দ্রকেই নিশানা করেছেন অধীর। লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা কটাক্ষ করে বলেছেন, পাকিস্তানের অন্দরের খবর মোদী সরকারের কাছে থাকে কিন্তু দেশের খবর থাকে না কেন্দ্রের কাছে। পুরো বিষয়টিকেই ষড়যন্ত্র বলে কটাক্ষ করেন অধীর। এর আগেও কৃষক আন্দোলন নিয়ে একাধিকবার মোদী সরকারের সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে অধীর চৌধুরীকে। মোদী সরকার অহংকার ও ঔদ্ধত্যের সরকার বলেও আক্রমণ শানিয়েছিলেন অধীর।
এদিকে বাদল অধিবেশন চলাকালীন সরকারের উপর চাপ বৃদ্ধির জন্য নয়া সিদ্ধান্ত নিল বিরোধী দলগুলি। লোকসভায় কৃষি আইনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণে ২০৪টি সংশোধনী চেয়ে নোটিস দিল তাঁরা। যে বিষয়গুলিতে সংশোধন চাওয়া হয়েছে সেগুলির মধ্যে রয়েছে কৃষকদের আন্দোলন এবং অতিমারির মত বিষয়। কংগ্রেস, তৃণমূল, বামফ্রন্ট এবং ডিএমকে-সহ ১১ টি দলের ২৯ জন সংসদ সদস্য সংশোধনী চেয়ে নোটিস দিয়েছে। বর্ষাকালীন অধিবেশনে সংসদে পাস হওয়া তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদেরই পক্ষ নিয়েছে বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, “বিক্ষোভের কোনও সমাধানের কথা রাষ্ট্রপতির ভাষণে উল্লেখ নেই যা দু:খজনক।”