Today Trending Newsদেশনিউজ

বিভিন্ম ধর্মে ও বর্ণের বিয়ে মানতে হবে সমাজকে, নজিরবিহীন রায় সুপ্রিম কোর্টের

Advertisement

নয়াদিল্লি: বিভিন্ন ধর্মে ও বর্ণে বিয়ে মানতে হবে সমাজকে, স্পষ্ট জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Suoreme Coourt)। শীর্ষ আদালতের মতে, ‘ নিজের সঙ্গী পছন্দ করার অধিকার আছে কোনও পুরুষ (Man) বা মহিলার (Woman)। আর সেটা মেনে নিতে হবে সমাজকে। শিক্ষার এখনই উৎকৃষ্ট সময়।’ আইন করে আটকানোর তো প্রশ্নই নেই।

লভ জেহাদ  ইস্যুতে এবার এমনই মত জানাল শীর্ষ আদালত। সমাজে বহুকাল থেকেই বাবা মায়ের দেখেশুনে বিয়ে দেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে। কিন্তু বর্তমানে নিজের পছন্দের মানুষকে বিয়ে করারও একটি রীতি তৈরি হয়েছে। এমন অনেকেই আছেন যারা নিজেই ভালবাসার সম্পর্ক তৈরি করা তারপর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।কিন্তু ভালবাসা তো আর জাত ধর্ম দেখে হয়না। তাই প্রশ্ন হল যদি ভালবাসার মানুষটি ভিন্ন বর্ণের হয়? এই প্রশ্ন ঘিরে এখন দেশজুড়ে বিতর্ক তুঙ্গে।

সম্প্রতি কর্ণাটকে একটি ঘটনা ঘটে যেখানে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই উচ্চশিক্ষিত, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। কিন্তু ভিন্ন ধর্মে প্রেম মেনে নেননি ওই তরুণীর পরিবারের লোকেরা। বাধ্য হয়েই ২০২০ সালে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে নেন দম্পতি। ওই দম্পতির অভিযোগ, স্রেফ পালিয়ে বিয়ে করার জন্যই ওই তরুণীর বিরুদ্ধে নিখোঁজ ডায়েরি করেন মেয়ের বাড়ির লোকেরা। ওই দম্পতির বিরুদ্ধে এফআইআরের আরজিকে পত্রপাঠ খারিজ করে শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, যখন দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ কোনও সম্পর্কে জড়ান, তখন কেবল তাঁদের বাবা-মা মেনে নিচ্ছেন না বলে তাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলা করা যায় না। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই দম্পতি। সেই মামলার শুনানিতে এদিন বিচারপতি সঞ্জয়কৃষ্ণ কউল ও হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার জানায়, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিবাহ মেনে নেওয়াটা খুবই জরুরি একটি সামাজিক অনুশীলন। বিজেপশাসিত রাজ্যে ইতিমধ্যেই ভিন্ন ধর্মে বিয়েকে ‘লভ জেহাদ’ আইন এনেছে সরকার। শুধুমাত্র ভিন্ন ধর্মে বিয়ে করার কারণে পরিবারের থেকে দূরে যেতে হয় সন্তানদের। একটি উন্নত সমাজে এই ধরনের ব্যবস্থা কাম্য নয়। সুপ্রিম কোর্টের মত অনুযায়ী সমাজে এই বিষয় শিক্ষার এটাই উৎকৃষ্ট সময়। তাই এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে পিছিয়ে পড়বে সমাজ।

Related Articles

Back to top button