শুনতে আশ্চর্য লাগলেও মাঠে ময়দানে নেমে মাপ ঝোক নেওয়ার দিন শেষ। এতদিন ধরে নিজের হাতে মাপঝোক নিয়ে চলত মানচিত্র (Map) বানানোর কাজ। তবে এবার থেকে প্রযুক্তির (Technology) সাহায্য নিয়ে ড্রোন উড়িয়েই হবে ম্যাপিংয়ের কাজ। এমনটাই জানিয়েছে ন্যাশনাল অ্যাটলাস অ্যান্ড থেম্যাটিক ম্যাপিং অর্গানাইজেশন (NATMO)।
কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাটলাস অ্যান্ড থেম্যাটিক ম্যাপিং অর্গানাইজেশনের ডিরেক্টর ডঃ তপতি বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘ডিজিট্যাল ম্যাপিং ইনোভেশন প্রোগ্রামে আমরা ম্যাপিংয়ের জন্য ড্রোন ব্যবহার করছি।‘তিনি আরও জানান ‘ডিজিট্যাল ম্যাপিং প্রোগ্রামে পড়ুয়ারা বা যে কোনও ব্যক্তি নিজের এলাকার তথ্য দিতে পারবেন, যা খতিয়ে দেখার পর প্রয়োজনে ম্যাপ মেকিং প্রোগামে সেই তথ্য আমরা ব্যবহার করি।‘ সারা দেশের মানচিত্র তৈরি থেকে বিভিন্ন বিষয়, নিয়ে গবেষণা করে থাকে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে আইএনসিএ ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ কংগ্রেসের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকে আমরা ভূগোলে মানচিত্র ব্যবহার করেছি। এখন ন্যাশনাল অ্যাটলাস অ্যান্ড থেম্যাটিক ম্যাপিং অর্গানাইজেশন সেটা ডিজিট্যালি সেটা তৈরি করছে। এই অনুষ্ঠানে একাধিক বিজ্ঞানী তাদের যাবতীয় রিসার্চ ওয়ার্কও পেশ করেন।
আমাদের চারিদিকে আমরা মাঝে মাঝেই ড্রোন আকাশে দেখতে পাই। স্বাভাবিকভাবেই মনে হয় যে কোন কিছুর নজরদারির জন্যই এই ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। এবার সেই ড্রোনকেই একেবারে অন্য কাজে ব্যবহার করা হবে। এতদিন মাঠে-ময়দানে নেমে করতে হত ম্যাপিংয়ের কাজ। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রত করতে হত, তাতে প্রচুর সময় নষ্ট হয়ে যেত, এবং সবসময় সঠিক তথ্য পাওয়া যেত এমনটা নয়। এখন ড্রোনের মাধ্যমে সেই কাজ হলে সেটি হয়ে যাবে অনেক সহজ ও কম সময় সঠিক পরিমাপ করাও সম্ভব হবে।