দল বদল করে পিছু ছাড়ছেনা বিতর্ক। শিবিরে যোগদান এরপরেও এইবার তোলাবাজি সহ আরও বহু অভিযোগ উঠল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়ার বিরুদ্ধে। গেরুয়া শিবিরের হাওড়া জেলা সভাপতি এমনকি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) কাছে পৌঁছেছে চিঠি৷ চিঠি বৈশালী ডালমিয়ার বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী হলেন বিজেপির বালি অঞ্চলের এক মণ্ডল সভাপতি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে।
যখন শাসক শিবিরে ছিলেন, দলের গোষ্টি দ্বন্দ্ব উস্কে দিয়ে নেতৃত্বের কোপে পড়তে হয়েছিল বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে (Baishali Dalimiya)। শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠকের পর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে শাসক শিবির। এরপর চাটার্ড বিমানে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee), প্রবীর ঘোষাল (Prabir Ghosal) দের সাথে দিল্লি গিয়েছিলেন বৈশালী। সেখানে শাহের সাথে বৈঠকের পরে আনুষ্ঠানিক ভাবে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তিনি। বালি থেকে দলত্যাগী শাসক শিবিরের বিধায়ক আবার প্রার্থী হওয়া নিয়ে যখন জল্পনা চলেছে, তখন মাথাচাড়া দিল নতুন বিতর্ক।
কি ঠিক ঘটনাটি? মঙ্গলবার তথা গতকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে একটি চিঠি। এমনকি সেই চিঠি পাঠানো হয়েছে গেরুয়া শিবিরের হাওড়ার জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহাকে এবং বাংলার বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে এই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ করে লেখা হয়েছে, আগের বছরে এক বারও নিজের বিধানসভা এলাকায় যাননি বৈশালী ডালমিয়া। করোনা এবং আমফানের সময়েও দেখা যায়নি নেত্রীকে। তার এক জন অনুগামী প্রোমোটার এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা তোলেন। আরও বলা হয়েছে যে কেবল নিজের কার্যসিদ্ধির জন্যই গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন বৈশালী। তাকে যেন দলের কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়না।
কিন্তু বিজেপির নেত্রীর বিরুদ্ধে এমন চিঠি কে লিখল? চিঠির নীচে লেখা রয়েছে রঞ্জন গোস্বামীর নাম। তিনি আবার বালির এলাকায় বিজেপি মণ্ডল সভাপতি! যদিও ‘অভিযোগকারী’র দাবি, এই চিঠিটি তার লেখা নয়। কেউ বা কারা সই নকল করেছে। দলের রাজ্য অফিস থেকে ফোন এসেছিল। দলের রাজ্য অফিস থেকে ফোন এসেছিল, সবটাই জানিয়ে দিয়েছেন। তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধেই পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন গেরুয়া শিবিরে মণ্ডল সভাপতি।