শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের বঞ্চনার অবসান, প্রকাশিত হচ্ছে বর্ধিত ভাতার নির্দেশিকা
কলকাতা: শিক্ষক (Teachers)-শিক্ষাকর্মীদের বঞ্চনার অবসান, প্রকাশিত হচ্ছে বর্ধিত ভাতার নির্দেশিকা। শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ বিশেষ করে মঞ্চের সদস্যা অনিমা নাথের (Anima Nath) লড়াই এর ফলে দীর্ঘ বছরের প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে আগামিকাল, বুধবার (Wednesday)। অমিত শাহকে (Amt Shah) ভরা সভায় কালো পতাকা দেখিয়েছিলেন এই অনিমা নাথ। বৃত্তিমুলক শিক্ষক, প্রশিক্ষক,ও শিক্ষাকর্মীদের বর্ধিত ভাতার অর্ডার জারি হচ্ছে। আগামিকাল সাংবাদিক সম্মেলন (Press Conference) করে যা ঘোষণা করা হবে বলে খবর সূত্রের। গত শুক্রবার (Friday) অর্থসচিবের সাথে দীর্ঘ আলচনা করে শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ। ৩ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট ও ৩ লাখ টাকা পাবেন সবাই।
চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক, প্রশিক্ষক, ও শিক্ষাকর্মীদের ভোটের বিজ্ঞপ্তির আগে দাবি না মেটালে অথবা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে না বসলে আন্দোলন জারি থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ। তারপরেই কখনও নবান্নে বিক্ষোভ, কখনও রাইটার্সে, কখনও বিকাশভবনে, জেলা নেতৃত্বরা জেলার মন্ত্রীদের বাড়ির সামনে, অথবা তাদের যাত্রাপথে গাড়ির সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন মঞ্চের প্রতিনিধিরা। অবশেষে হল দাবিপূরণ।
শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের সম্পাদক মইদুল ইসলামের অভিযোগ, “কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতির ফলে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের জীবন জীবিকা বিপন্ন, ত্রিপুরার ঘটনা তার প্রমান৷ আমরা অরাজনৈতিক শিক্ষক সংগঠন, চোখে চোখ রেখে নিজেদের ন্যায্য দাবির পক্ষে বা অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করে দাবি আদায় করাই হল লক্ষ। বর্তমানে পুলিশ প্রশাসন অথবা রাজ্য সরকার আমাদের আন্দোলনকে ভয় পেয়ে অনুমতি দেয় না। আমাদের বাধ্য হয়ে হাইকোর্ট থেকে অনুমতি নিতে হয়। এটা কখনও গণতান্ত্রিক দেশে কাম্য নয়। রাষ্ট্র যখন অগণতান্ত্রিক হয়, তখন আমাদেরকে বিশেষত শিক্ষক তথা সুশীল নাগরিকদের, গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতন্ত্র রক্ষা করার দায়িত্ব তা মনে করিয়ে দিতে হয়”
মইদুল জানিয়েছেন, শিক্ষিকাদের বিধানসভা অভিযান ও বিধানসভার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন একটা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পার্ট। বীরঙ্গনা শিক্ষাকারাদের জানাই সংগ্রামী অভিনন্দন৷ গত ৪ মাস ধরে রাজ্যের ২২ টা জেলার জেলাশাসকের মাধ্যমে আমাদের ১৩ টি সংগঠনের সংগ্রামী মঞ্চ (শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ) ডি এম টু সিএম ডেপুটেশন দিয়েছি ২৬ দফা দাবির আদায়ের লক্ষ্যে৷ গত ১১–১৩ ই জানুয়ারি পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় রবিবার স্পেশাল কোর্ট থেকে অনুমতি নিয়ে শহীদ মিনারে অবস্থান —অনশণ কর্মসুচীর মাধ্যমে রাজ্যের মাননীয়া মূখ্যমন্ত্রীর অফিসের আধিকারিকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছি। অবশেষে সরকার আমাদের দাবি পূরণ করছে।”