সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের ঘোষিত হয়ে গেল বিধানসভা ভোটের সম্পূর্ণ নির্ঘণ্ট। দিল্লিতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়ে গেছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি তামিলনাড়ু, অসম, পুদুচেরি, কেরলের ভোটের নির্ঘণ্ট ও ঘোষণা করে দিয়েছে। তবে, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বাকি রাজ্যে মাত্র এক দফায় ভোট গ্রহণ করা হবে। অসমের ১২৬ আসনের ভোটগ্রহণ এর জন্য রাখা হয়েছে তিনটি দফা। পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪টি আসনের জন্য ভোট গ্রহণ করা হবে আটটি দফায়। সেই নিয়ে এবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সরাসরি কটাক্ষ করলেন বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনকে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছেন নির্বাচন কমিশন যেভাবে ভোট ঘোষণা করেছে তাতে মান্যতা দিচ্ছি। কিন্তু অসম, কেরল এবং তামিলনাড়ুতে এক দফায় ভোট হচ্ছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে ভোট নেওয়া হয়েছে আট দফায়? তাহলে কাকে সুবিধা করে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন?
তার প্রশ্ন প্রত্যেক দফায় একেকটি জেলায় অর্ধেক ভোট নেওয়া হচ্ছে কেন? জেলাকে পার্ট ওয়ান এবং পার্ট টু করে দেওয়া হচ্ছে কেনো? দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কে তিনটি দফায় ভাগ করা হয়েছে। মোদি এবং অমিত শাহ কি সমস্ত ঠিক করে দিলেন? ৩২ দিনের খেলা খেলবেন আপনারা? আপনাদের সবাইকে হারিয়ে ভূত করে দেব। মমতা বলছেন, “বাঙালি বাঙালি তে ভাগ করছেন, হিন্দু মুসলিম ভাগ করছেন।” আমাদের জোর বেশি, তাই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় তিন দফায় ভোট নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেছেন, “আপনার সব চক্রান্ত আমরা ভেঙে দেবো। বহিরাগত মানুষেরা বাংলা শাসন করতে পারবে না। লোকসভা ভোটে কি করেছিলেন বিবেক দুবে আমরা সব জানি। কেন্দ্রীয় সরকার নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারবেনা। ভোটের আগে এজেন্সির অপব্যবহার করা হচ্ছে এবং সেই এজেন্সি বর্তমানে বিজেপির হাতে রয়েছে। যত নেতাকে নিয়ে আসুন না কেন আমরা ঘরে বাসন মাজার লোক। এত ভয়, বাংলা কে অসম্মান করা হয়েছে। নির্বাচনের পরে আমাকে সেরা সম্মান দেবেন।”