বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) বলছেন, আমরা এই ভোট ঘোষণাকে স্বাগত জানাচ্ছি এবং আশা করছি মানুষ নির্ভয় ভোট দিতে পারবেন এবারের নির্বাচনে। অন্যদিকে তৃণমূলের নাম না করে তিনি বলেছেন, “আমরা নির্বাচনকে খেলা বলে মনে করি না। যারা মনে করেন তারা মানুষকে অপমান করছেন। মানুষ জবাব দেবেন।” অন্যদিকে বাম নেতারা কমিশনকে বার্তা দিয়েছেন, “মানুষ যাতে অবাধে ভোট দিতে পারে তা নিশ্চিত করুন।”
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সম্পূর্ণ নির্ঘন্ট ঘোষণা করে দিল ইলেকশন কমিশন। এবারে নজিরবিহীনভাবে আট দফায় ভোট গ্রহণ করা হবে পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু এত দফা কেন ব্যবহার করা হচ্ছে? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘কোথাও একটা প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে। বিহারে যেখানে ২৪০ টা আসন, সেখানে ভোট গ্রহণ করা হলো তিনটি দফায়। আর বাংলা ক্ষেত্রে সেটা আটটি দফা হয়ে গেল। কেরলে সিপিএমের সরকার রয়েছে, তামিলনাড়ুতে রয়েছে ২৩৪ টি আসন। সেখানে গ্রহণ করা হচ্ছে মাত্র এক দফায় ভোট। কাকে সুবিধা করে দিচ্ছেন নির্বাচন কমিশন? যদি মানুষকে সুবিধা না করে দেওয়া হয় তাহলে কোথায় যাবে জনগণ?” বিজেপির নির্দেশে এটা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে মোহাম্মদ সেলিম বলেছেন, “আর দফায় ভোট হচ্ছে আবার শেষ দফা ২৯ এপ্রিল তারিখে। প্রথম দফায় মনোনয়ন জমার জন্য কদিন রয়েছে? বিধানসভা ভোট এবং সরকার গঠনের জন্য গোটা মে মাসটা সময় ছিল। এত তাড়াহুড়ো কেন করা হচ্ছে? আট দফায় ভোট মানেই কিন্তু অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট নয়। নির্বাচন কমিশনকে কিন্তু অবাধ প্রচার এবং নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে।”