অফবিট

রূপে লক্ষ্মী গুনে IPS অফিসার, জানুন সোশ্যাল মিডিয়া কুইন IPS অফিসার সম্বন্ধে

রূপবতী নভজৎ সিমি বিহারের IPS অফিসার

Advertisement

ভারত পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অন্তর্গত, এই ভাবনা দীর্ঘদিন আগেই ভুল প্রমাণ করে দিয়েছে দেশের মেয়েরা। এখনকার মেয়েরা একটি পুরুষের সাথে পাল্লা দিয়ে জীবন-জীবিকা অতিবাহিত করে। তারা আর পিছিয়ে নেই। কঠিন থেকে কঠিনতম চাকরির ক্ষেত্রে এখন দেখা যায় মেয়েদের। তারা কোন পরিস্থিতিতে পিছিয়ে আসতে রাজি নয়। কারণ এখন সবাই ছেলে বা মেয়ের মধ্যে পার্থক্য করা থেকে বিরত হয়েছে। পুলিশ, নেভি, আর্মি এখন সব জায়গাতে মেয়েদের দেখা যায়। আজকের এই প্রতিবেদনে এমনই এক সাহসী যুবতীর গল্প আপনাদের শোনাবো।

কথায় আছে, “রূপে লক্ষ্মী ও গুণে সরস্বতী”। এই কথার যথার্থতা প্রমাণ করেছে নভজৎ সিমি নামক এক যুবতী। তাকে এক ঝলকে দেখলে তার রূপের মাধূর্যে আপনি কথা হারাবেন। আবার তার গুন শুনলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। এই রূপবতী নভজৎ সিমি নামক যুবতী হলেন একজন IPS অফিসার। তিনি সাধারণ মানুষের রক্ষক। আর একজন আইপিএস অফিসার হতে গেলে কতটা মেধাবী বা উপস্থিত বুদ্ধি থাকতে হয়, তা ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন হয় না। সিমির কাছে সব রকম অঙ্ক যেমন জল ভাত। তার তুখোড় বুদ্ধি ও জ্ঞানের ভান্ডারের কাছে ফেল হয়ে যাবে অনেকে।

এতক্ষণ হলো গুণের কথা। এবার আসা যাক তার রূপের চর্চা করতে। আইপিএস অফিসার নভজৎ সিমি সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টার বলতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে তার ছবি দেখলে তার সাথে বলিউড তারকাদের পার্থক্য করতে পারবেন না। সোশ্যাল মিডিয়ার সুন্দরী এই নারীর সৌন্দর্য্যে হার মানবে অনেক তাবড় বলিউড অভিনেত্রী।

নভজৎ সিমি পাঞ্জাবের বাসিন্দা। তার ছোট থেকেই উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী হওয়ার ইচ্ছা। ইচ্ছাপূরণ করতে পড়াশোনায় কখনো ফাঁকি রাখেনি সে। জানা গিয়েছে তিনি লুধিয়ানার বাবা যশোবন্ত সিংহ ডেন্টাল কলেজ থেকে স্নাতক হয়েছেন। এখন তিনি সাধারণ মানুষের রক্ষক। ২০২০ সালে তিনি আইপিএস হওয়ার জন্য পরীক্ষা দেন এবং তার আগে তিনি নয়াদিল্লিতে এসে টিউশনি নিতে শুরু করেছিলেন। তারপর উত্তীর্ণ হয়ে বিহারের আইপিএস ছিলেন এবং এখন বর্তমানে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর রক্ষার কাজে তিনি নিয়োজিত আছেন।

অন্যদিকে আর কিছুদিনের মধ্যেই সিমি বিয়ে সেরে নিতে চাইছেন। তাকে বিয়ে করতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গে কর্মরত আইএস অফিসার। তার এখন উলুবেড়িয়াতে পোস্টিং আছে। ইতিমধ্যেই তাদের রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়েছে। সিমির বিয়ের খবর পেয়ে মন ভেঙেছে অনেক নেটিজেনের।

Related Articles

Back to top button