রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে গিয়েছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তার কারণ ছিল প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ। কিন্তু এবারে বৃহস্পতিবার এই শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় স্থগিতাদেশ দিয়ে দিল ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ, এবারে রাজ্য সরকার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করতে পারে। আদালত তাদের কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের সিঙ্গেল বেঞ্চ প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল যাতে এদিন স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট।
রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ থেকে বলা হয়েছিল, প্রাথমিক মেধাতালিকায় অস্বচ্ছতা রয়েছে এবং সেই কারণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো নিয়োগের ক্ষেত্রে। তারপর হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এর কাছে এই মামলা গিয়ে পৌঁছায়। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের পক্ষে রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সৌমেন মিত্র ডিভিশন বেঞ্চ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে রাজ্য সরকার এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাতে পারে। সেই মর্মে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা টাঙ্গানোর কথা ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীদের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার এবং এই তালিকা এমনভাবে তৈরি করা হবে যাতে সমস্ত পরীক্ষার্থী নিজেদের সমস্ত তথ্য সবিস্তারে দেখতে পেয়ে যাবেন। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে এই তালিকা প্রকাশ করা হবে। এই তালিকার নিরিখে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল ১৬,৫০০ পদের জন্য শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, প্রাথমিকের মেধাতালিকায় অস্বচ্ছতা রয়েছে। এই কারণে এখনই শিক্ষক নিয়োগ করা হবে না।
আদালত এই বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করা হয়। পরে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। জানানো হয় মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রার্থী নিয়োগ হবে না। সেই মুহূর্তে, নিয়োগ প্রক্রিয়া একেবারে বিশবাঁও জলে চলে গিয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার এই মামলার পুরনো রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কিছুটা হলেও অতিরিক্ত অক্সিজেন পেয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।