একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচন প্রায় দোড়গোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে। এরইমধ্যে বিজেপি গতকাল তাদের শেষ চার দফার ১৪৮ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে। কিন্তু প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে বিজেপির অন্দরমহলে চলছে বিক্ষোভ। তৃণমূল দলত্যাগী নেতারা বিজেপিতে গিয়ে টিকিট পেয়ে যাওয়ায় পুরনো বিজেপি কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি অসন্তোষের জেরে রাজ্যের একাধিক অঞ্চলে পুরনো বিজেপি কর্মীরা বিজেপি কার্যালয়ে ভাঙচুর করে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে ও দলীয় কোনো কর্মসূচিতে না উপস্থিত থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
গতকালের প্রার্থী তালিকায় জায়গা করে নিতে পারেনি প্রাক্তন অভিনেতা জয় ব্যানার্জি। তিনি প্রার্থী না হওয়ায় রীতিমতো দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি সরাসরি বিজেপি বঙ্গনেতৃত্বদের কটাক্ষ করে বলেছেন, “আমার কিছুদিন আগে শরীর খারাপ ছিল। কিন্তু আমি নির্বাচনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছিলাম যে আমাকে লড়াইয়ের মাঠে নামতে হবে। তবে দুদিন আগে যখন পার্টি অফিসে যাই তখন শীবপ্রকাশবাবু বলেন “আভি তুম শো যাও”। এই কথাতে আমার খুব অপমানবোধ হয়েছে। দল যদি মনে করে যে আমি কোন কাজের লোক নয় তাহলে আমাকে তো এবার প্রমাণ করে দিতে হবে জয় ব্যানার্জি কতটা কাজের ছেলে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর একাধিক অঞ্চলে ধুন্ধুমার অশান্তি বেধে যায়। বেশিরভাগ অঞ্চলে তৃণমূলত্যাগী নেতারা প্রার্থী হওয়ায় রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়ে আঞ্চলিক বিজেপি কর্মীরা। সবে তৃণমূল থেকে বিতাড়িত হলেও বৈশালী ডালমিয়া, জিতেন্দ্র তিওয়ারি প্রমুখরা প্রার্থী হয়েছে। এর প্রতিবাদে গতকাল রাজ্যের একাধিক পার্টি অফিসে বিজেপি কর্মীরা তাদের পতাকা ফেস্টুন ছিঁড়ে দেয় এবং তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়াও রায়গঞ্জে বিজেপি রাজ্য সভাপতির কুশপুতুল দাহ করা হয়। একাধিক পার্টি অফিসে ভাঙচুর করে অশান্ত বিজেপি কর্মীরা ও বিজেপি প্রার্থী বদলের দাবি জানায়। এরপর নির্বাচনের আগে বিজেপির এই অন্তর্কলহ যে কি রূপ নেবে সেটাই দেখার।