একুশে বিধানসভা নির্বাচন বাংলার দরজায় এসে কড়া নাড়ছে। এই মুহূর্তে গোটা বাংলায় তৃণমূল বিজেপি দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। গোটা বঙ্গবাসী এখন উদ্বেগে আছে, যে কোন রাজনৈতিক দল এবার নির্বাচনে জিতে বাংলার শাসন করবে। এই পরিস্থিতিতে বারংবার একটি কথা উঠে আসছে যা হল “নীলবাড়ির লড়াই”। আসলে একুশে বিধানসভা নির্বাচনের পর নবান্নের দায়িত্বে থাকবে তৃণমূল না বিজেপি সেটাই সবার কাছে লাখ টাকার প্রশ্ন। তবে এরই মাঝে আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা টালিগঞ্জের প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়াতে এই “নীলবাড়ির লড়াই” কথাটির সমালোচনা করে বলেছেন, “কেন বারংবার নির্বাচনকে নীলবাড়ির লড়াই বলা হচ্ছে। বিজেপি জিতলে নবান্নে প্রশাসনিক দপ্তর করবে এমনকি কোথাও বলা হয়েছে?”
বেশ কিছুদিন আগে এই বিষয়ে কথা উঠলে বিজেপি জানায় যে তারা জিতলে রাজ্যের প্রধান সচিবালয়কে নবান্ন থেকে মহাকরণে স্থানান্তর করবে। এরপর সোশ্যাল মিডিয়াতে বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় বলেছেন, “নীলবাড়িতে বসে চরম জনবিরোধী এবং একান্ত নিষ্ঠুর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি অনৈতিক কাজকর্ম করেন। বাংলার ইতিহাসে ওই বাড়িটা একটি অভিশপ্ত বাড়ি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ওই বাড়ির শাপমুক্তির জন্য ওই বাড়িতে গরিবদের জন্য হাসপাতাল বা বৃদ্ধাশ্রম বা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলকাতায় পড়তে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ছাত্রাবাস তৈরি করা হবে।” এমনকি তার কথার সমর্থন করেছেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।তিনি বলেছেন, “মহাকরণের সাথে বাঙালির সম্পর্কটা ইমোশনাল। বিজেপি জিতলে তারা মহাকরণে তাদের কার্যালয় ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।”
অন্যদিকে তৃণমূল নেতা সৌগত রায় বাবুল সুপ্রিয়র কথার তীব্র বিদ্রুপ করেছেন। তিনি বলেছেন, “বাবুল একটা পাগল। ওর কথায় কি যায় আসে। ও কি দলের সর্বভারতীয় সভাপতি। বরঞ্চ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে বিধায়ক পদপ্রার্থী করে দিয়েছে। এতেই বোঝা যায় দলে ওর গুরুত্বটা কোথায়। ওর কথায় গুরুত্ব দেওয়ার কোন মানে নেই।”