রাত পেরোলেই মেগাফাইট! ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নন্দীগ্রামে
আজ সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা নন্দীগ্রামের রাস্তায় রাস্তায় রুটমার্চ করছে
বাংলা বিধানসভা নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। গত শনিবার প্রথম দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এবার পালা দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের। আগামীকাল রাজ্যের ৪ টি জেলায় ৩০ টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণপর্ব চলবে। তার আগে গতকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। আর এই বিধানসভা কেন্দ্রে সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হচ্ছেন দুই রাজনৈতিক মহারথী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। এই বিধানসভা কেন্দ্রের নিরাপত্তা আঁটোসাটো করে দেয়া হয়েছে নির্বাচনের আগের দিন থেকে। আজ থেকেই তেখালি থেকে রেয়াপাড়া সমস্ত জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ছড়াছড়ি। যেখানেই চোখ যাচ্ছে সেখানেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঘুরে বেড়াচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন আগামীকাল নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের ৩৫৫ বুথে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে এবং প্রত্যেকটি বুথকে স্পর্শ কাতর বলে চিহ্নিত করেছে। সেখানে আগামীকাল সব মিলিয়ে দুই হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। আজ অর্থাৎ বুধবার সকাল থেকেই কোথাও বিএসএফ আবার কোথাও সিআরপিএফদের রুটমার্চ করতে দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে গতকাল রাতে বয়াল এবং গোকুলনগর এর মত এলাকা থেকে বোমাবাজির খবর সামনে এলে সেখানে সকাল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানরা ঘোরাফেরা করছে। এককথায় নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রকে ছোটখাটো সেনা ব্যারাক বলে মনে হচ্ছে।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম দফা নির্বাচনের পর কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গলায় সুর তুলেছিল। তাদের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল জনসভা থেকে মহিলাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “মাস্ক পড়ে মহিলারা ভোট দিতে যাবেন। তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য ভোট দিতে আটকাতে পারবে না।” আসলে এবার নন্দীগ্রামের মমতার জনসভাতে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তাই কোনভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মহিলা ভোটব্যাঙ্ক হারাতে চান না।