রাজীব ঘোষ: বনগাঁ পুরসভা কার?দীর্ঘ দেড় মাস সময় ধরে এই বিষয়ে টানাপোড়েন চলছে।কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন আগামী ১২ দিনের মধ্যে বনগাঁ পুরসভায় আস্থা ভোট করতে হবে। ১৬ ই জুলাইয়ের আস্থা ভোট বিচারপতি বাতিল করে দিয়েছেন।শুধু তাই নয় হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, এবার বনগাঁ পুরসভার আস্থা ভোট জেলাশাসকের দফতরে গ্রহণ করতে হবে।পুলিশ সুপারকে সমস্ত কাউন্সিলরদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।বিচারপতি এও বলেছেন, যদি এই নির্দেশ অমান্য করা হয়, তাহলে আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হবে।ফলে বনগাঁ পুরসভা কার দখলে যেতে চলেছে সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। ২২ আসনের বনগাঁ পুরসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের ২০ জন কাউন্সিলর ছিলেন।
বাকি ১ জন সিপিএমের এবং নির্দল কাউন্সিলর ছিলেন ১ জন।কিন্তু সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের ১১ জন কাউন্সিলর পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হন।তখন থেকে পুরসভায় সমস্যা শুরু হয়।এই ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের হয়।আদালত আস্থা ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলেন।সেই অনুযায়ী ১৬ ই জুলাই বনগাঁ পুরসভায় আস্থা ভোট গ্রহণ করার দিন ধার্য্য হয়।কিন্তু যে সব কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সেদিন তাদের পুরসভায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়।বিজেপি কাউন্সিলরদের পুরসভায় ঢুকতে না দিয়ে তৃণমূলের পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য আস্থা ভোটে তৃণমূল জয়ী বলে জানান।তার ফলে বিজেপির কাউন্সিলররা ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় বলেন, বনগাঁ পুরসভা জোর করে তৃণমূল দখল করেছে।যেটা গনতন্ত্রের পক্ষে ঠিক নয়।এই অবস্থা ভয়ঙ্কর।
পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যকে বিচারপতি রীতিমতো কড়া ভাষায় নিন্দা করেন।এরপর সম্প্রতি বনগাঁ পুরসভার যে সংখ্যা ছিল বিজেপির কাউন্সিলর ছিলেন ১২ জন এবং তৃণমূলের ছিলেন ১০ জন,সেখানে বিজেপির ৩ জন কাউন্সিলর আবার তৃণমূলে ফিরে আসেন।ফলে বর্তমানে তৃণমূল কাউন্সিলর ১৩ জন এবং বিজেপির কাউন্সিলর সংখ্যা হয়েছে ৯ জন।স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে বনগাঁ পুরসভা তাদের দখলে রয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়।এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশের ফলে আবার বনগাঁ পুরসভায় আস্থা ভোট গ্রহণ করতে হবে।তখন আবার নতুন কোনো সমীকরণ হয় কিনা সেদিকে লক্ষ্য রয়েছে সকলের।