একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফা ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। পঞ্চম দফার নির্বাচন রয়েছে আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার ১৭ এপ্রিল। তবে চতুর্থ দফা নির্বাচনে কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হলে সেই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে গোটা বঙ্গ রাজনীতি। শীতলকুচি ইস্যু নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি বিবাদ তুঙ্গে উঠেছে। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনকেও ঘটনার জন্য কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূল। তবে কিছুদিন আগে নির্বাচন কমিশন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তারপর বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশের ঠিকমতো উত্তর না দেওয়ার কারণে তাদের একদিনের নির্বাচনী প্রচার বন্ধ করে দিয়েছিল। মমতা রাহুলের পর এবার নির্বাচন কমিশনের কোপে পরল বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আসলে চতুর্থ দফা নির্বাচনের শীতলকুচি ঘটনার ঠিক পরের দিন ১১ এপ্রিল বরাহনগরে একটি জনসভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি সেদিন জনসভায় উপস্থিত থেকে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে গিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “ভয় দেখিয়ে রাজনীতি করার দিন চলে গেছে। ভয় উপেক্ষা করে মানুষ ভোট দিতে যাচ্ছেন। আগামী পঞ্চম দফার নির্বাচন অর্থাৎ ১৭ তারিখ সকালে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিন আপনারা। প্রত্যেকটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। কেউ লাল চোখ দেখাতে পারবে না। আমরা আছি। আর যদি খুব বাড়াবাড়ি করে তাহলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।” আর তার এই বক্তব্যের জেরেই ১৩ এপ্রিল তাকে শোকজ করে নির্বাচন কমিশন।
তবে দীলিপবাবু জানিয়েছিলেন যে সেদিন রাতেই তিনি তার শোকজের জবাব দিয়ে দিয়েছেন। তবে গতকাল নির্বাচন কমিশন সকালের দিকে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়। তারা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে ৭ টা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টা অব্দি ২৪ ঘন্টা দিলীপ ঘোষের প্রচার বন্ধ করে দেয়। নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, “দিলীপ ঘোষের মন্তব্য চরম প্ররোচনামূলক ছিল। এই বক্তব্য রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে দিতে পারে।”














A$AP Rocky Appears to Confirm Marriage to Rihanna, Calls Himself a ‘Loving Husband’