চলতি বছরের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ধীরে ধীরে করোনার সংক্রমণ গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। নয়া মিউট্যান্ট স্ট্রেন আগের তুলনায় অনেক বেশি ভয়াবহ। এতে একদিকে যেমন সংক্রমণ বেড়ে গেছে ঠিক তেমনি অন্যদিকে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুহার। গোটাদেশে শুধুমাত্র শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনা সংক্রমণ হয়েছে ৩ লাখের বেশি মানুষের। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ভারতের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ভিত পুরোপুরি টলে গেছে। পাওয়া যাচ্ছে না করোনা রোগীদের জন্য বেড। গোটা দেশে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার পড়ে গেছে। অনেক হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। তবে এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মাঝেই আরও একটি পরিসংখ্যান রীতিমতো উদ্বেগে ফেলছে প্রত্যেক ভারতবাসীকে।
সম্প্রতি আইআইটি কানপুর এবং হায়দ্রাবাদের বিজ্ঞানীরা একটি গবেষণার মাধ্যমে দেখেছেন যে, আগামী অর্থাৎ মে মাসের মাঝামাঝি দেশে সবচেয়ে বেশি হবে করোনা রোগীর সংখ্যা। তারা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যাতে জানা গিয়েছে যে ভারতের মধ্যে দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান ও তেলেঙ্গানায় এপ্রিল মাসের ৩০ তারিখ অব্দি করোনা সংক্রমণ গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হবে। বেচারা আইআইটি কানপুরের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মনিন্দ্র আগারওয়াল জানিয়েছেন যে, মে মাসের ১১-১৫ তারিখের মধ্যে সংক্রমনের শীর্ষে পৌঁছাবে ভারত। তখন দৈনিক সংক্রমণ হবে ৩৩-৩৫ লাখ। তবে তারপর এইগ্রপ নিম্নমুখী হবে। মে মাসের শেষের দিক থেকেই এই গ্রাফ নামতে থাকবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘন্টায় গোটা দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ৩২ হাজার ৭৩০ জন। করোনার নতুন মিউট্যান্ট স্ট্রেনের জন্য প্রতিদিন সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। পাশাপাশি বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃত্যুহার। ইতিমধ্যেই ভারতে গত বছর থেকে আক্রান্তের মোট সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬২ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯৫ জন।