বাস্তব জীবনের হিরো হয়ত একেই বলে। দেশের অক্সিজেনের চাহিদা প্রচুর কিন্তু তা পূরণ করতে ব্যর্থ কেন্দ্রীয় সরকার। এই পরিস্থিতিতে ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশ এ বিশাল চাহিদার স্বল্প যোগানের ফলে শুরু হয়ে গিয়েছে অক্সিজেনের কালোবাজারি। বর্তমানে কোথাও কোথাও আছে অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম ছাড়িয়ে গিয়েছে ৩০,০০০ টাকা। এই পরিস্থিতিতে উদ্যোগ প্রতিদিন অনেকেই এগিয়ে আসছেন অক্সিজেন সরবরাহ করতে।
আর এই কাজে প্রথম ভারতের অন্যতম বড় উদ্যোগ প্রতি রতন টাটা। রতন টাটা বর্তমানে অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করার জন্য দেশবাসীর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। ক্ষুদ্র উদ্যোগপতিরাও কিন্তু করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভারতবাসীকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসছেন। উত্তরপ্রদেশের হামিরপুর এর সুমেরপুর ইনডাসট্রিয়াল এরিয়াতে অবস্থিত রিমঝিম ইস্পাত ফ্যাক্টরির মালিক মনোজ গুপ্তা মাত্র ১ টাকার বিনিময় এক একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার ভর্তি করে দিচ্ছেন। এই কাজের জন্য তিনি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন বর্তমানে।
মনোজ গুপ্তা জানিয়েছেন, তার কারখানায় প্রত্যেকদিন ১০০০ করে অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল হচ্ছে। প্রত্যেকটি সিলিন্ডার এর জন্য ১ টাকা করে চার্জ করছেন তিনি। তবে একটি শর্ত রয়েছে, শুধুমাত্র করোনা ভাইরাস পজিটিভ রোগীদের জন্য এ ব্যবস্থা চালু করেছেন মনোজ গুপ্তা। করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এবং তার সাথে যে ডাক্তারের অধীনে চিকিৎসা চলছে তার প্রেসক্রিপশন দেখাতে হচ্ছে। তার সঙ্গে লাগছে আধার কার্ড। মনোজ গুপ্ত বলছেন, বর্তমানে কালোবাজারি ছেয়ে গেছে ভারতে। এই কারণেই তার এই এত কড়াকড়ি করা।