ফেস মাস্ক নয়, বরং এটি হতে চলেছে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে বর্তমানে সবথেকে বড় অস্ত্রের মধ্যে একটি। এই অস্ত্র করোনা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন ভেঙে দিতে সক্ষম। আর এই অস্ত্র লুকিয়ে রয়েছে এই বিশেষ মাস্কের পর্দাতেই। মান্ডি আইআইটি বিজ্ঞানীরা এমনই একটি অদ্ভুত মাস্ক তৈরি করে ফেললেন। এই মাস্ক ব্যবহার করলেই মুহুর্তের মধ্যে করোনাভাইরাস শেষ। ন্যানোপ্রযুক্তিতে মাস্ক তৈরি হয়েছে এবং এর নাম ন্যানোনাইফ। এই মাস্ক এর উপরে একটি রাসায়নিক এর স্তর ছড়িয়ে দিয়েছেন গবেষকরা যা একেবারে রাসায়নিক ছুরির মত কাজ করবে।
ন্যানোপ্রযুক্তিতে এই প্রথম এই ধরনের মাস্ক তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা। আমেরিকার কেমিক্যাল সোসাইটির জনপ্রিয় সায়েন্স জার্নাল অ্যাপ্লাইড মেটেরিয়ালস ইন্টারফেসে এই ধরনের গবেষণার খবর সামনে এসেছে। তারপরেই মান্ডি আইআইটির গবেষকরা এই টেকনোলজিতে তৈরি করলেন ফেস মাস্ক। খরচের কথা মাথায় রেখে এমনভাবেই তৈরি করা হচ্ছে, যেন আপনারা এই মাস্ক বারবার ধুয়ে পরতে পারবেন।
এই মাসকে দেওয়া হচ্ছে একটি এমন ফেব্রিক যাঅ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল অর্থাৎ যেকোন রকমের মাইক্রোফিল্ম ব্যাকটেরিয়া নষ্ট করে দিতে পারে। এছাড়াও মাস্ক এর উপর একটি মলিবডেনাম সালফাইডের স্তর রয়েছে যা খুব সূক্ষ্ম স্তরে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে মাস্ক এর উপরে। এই স্তর ফটো থার্মাল লেয়ার হিসেবে কাজ করবে এবং মাস্কের উপাদানের উপর আলো পড়লে অনু-পরমানু গুলো সক্রিয় হবে। তৈরি হবে তাপ। আর এই তাপেই ঘায়েল হবে করোনাভাইরাস। ভাইরাসের কনা আর মাস্ক ভেদ করে ভেতরে ঢুকতে পারবে না। বিজ্ঞানের ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন এই মাস্ক ই. কোলাই এবং ই. অরিয়াস ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ সাফল্য নিয়ে এসেছে।
যেকোনো জনবহুল জায়গা, ভির জায়গায় সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে তাই সেই সমস্ত জায়গায় এই ধরনের মাক্স ব্যবহার করলে আপনারা অনেক বেশি সুরক্ষিত থাকবেন। গবেষকরা জানিয়ে দিয়েছেন, ৬০ বার ধুয়ে ফেললেও এই মাস্ক আপনারা ব্যবহার করতে পারবেন। দামের দিক থেকে একটু বেশি হবে কিন্তু চারটে লেয়ার দিয়ে তৈরি হবে এই ধরনের মাস্ক এবং ১২০ ন্যানোমিটার আকারের ভাইরাস কণাকে মেরে ফেলতে পারবে এই মাস্ক। বিজ্ঞানীদের মতামত এই ধরনের মেটেরিয়াল দিয়ে তৈরি পিপিই কিট পড়লে অনেক বেশি সুরক্ষিত থাকবেন ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা।